fbpx
অন্যান্যদেশবাংলাবিনোদন

আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস; ভালবাসায় ভরে থাকুক প্রতিটি ক্ষন

ভালোবাসা একটি বিশেষ দিনের জন্য নয়। সারা বছর, সারা দিন ভালোবাসার। তবু একটি দিনের কপালে জুটেছে ভালোবাসা দিবসের তকমা। বছর ঘুরে আবার ফিরে এলো সেই দিন—বিশ্ব ভালোবাসা দিবস আজ।

গতকাল ছিল বসন্তের প্রথমদিন, আর আজ দিনটি ভালোবাসার। বসন্তের সঙ্গে ভালোবাসার গভীর সম্পর্ক। দুটি দিবস পাশাপাশি হওয়ায় আনন্দের মাত্রাটাও বেশি। এই দুটি দিবস মিলে আমরা সারা বছর ধরেই যেন বসন্তের আবহের মধ্যে থাকতে পারি, ভালোবাসার আবহের মধ্যে থাকতে পারি—এ প্রত্যাশা সবারই।

ভালোবাসার দিনে মনের যত বাসনা, না-বলা কথা ডালপালা মেলে আজ ছড়িয়ে পড়বে বসন্তের মধুরেণ হাওয়ায়। হৃদয়ে লাগবে দোলা, ভালোবাসার রঙে রঙিন হবে দিন। ‘হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল’ হয়ে প্রহর কাটবে প্রেমপিয়াসিদের।

প্রেমপিয়াসি হৃদয়ের কাছে বিশেষ গুরুত্ব আছে এই দিনটির। বছরের এই দিনটিকে সারা বিশ্বের তরুণ-তরুণীরা বেছে নিয়েছে হৃদয়ের ব্যাকুল কথার কলি ফোটাতে। যদিও এটি পশ্চিমা রীতি।

বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস পালনের রীতি খুব বেশিদিনের নয়। মূলত তরুণ-তরুণীদের মধ্যে দিবসটি ঘিরে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। আজ তাই দিনভর তারুণ্যের উচ্ছ্বাস দেখা যাবে।

ভ্যালেন্টাইনস ডে পালনের রীতিটা মূলত ইউরোপীয়। আমাদের দেশে প্রায় দেড় দশক আগে এই দিবস পালনের সূচনা। তবে বাঙালি সংস্কৃতিতে বসন্ত উৎসব উদ্‌যাপনের রেওয়াজ সেই অনাদি কাল থেকেই।

সনাতন ধর্মাচারীরা দোলযাত্রা, বাসন্তীপূজা, হোলি উৎসবে প্রণয়কে মুখ্য করে রেখেছিল। আর এখন তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ভ্যালেন্টাইনস ডে এক বিশেষ উৎসবের দিন।

ভালোবাসা দিবস মানেই প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে একটি বিশেষ দিন উদ্‌যাপন। দিবসটি উপলক্ষে ঢাকার সব গিফট শপেই ছিল তরুণ-তরুণীর ভিড়। ভিড় ছিল ফুলের দোকানেও। বইমেলায় ভালোবাসার কবিতার বইয়ের ব্যাপক চাহিদা। অ্যালবাম, পোশাক-আশাকসহ নানা ধরনের উপহারসামগ্রীর চাহিদা ছিল বেশ। আজ সারা দিন মোবাইল ফোনে, ফেসবুকে শুভেচ্ছা বিনিময় চলবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, চারুকলা, ধানমণ্ডির রবীন্দ্রসরোবর, সংসদ ভবন চত্বর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা বটমূল, চন্দ্রিমা উদ্যান মুখর থাকবে সারা দিন। ভালোবাসা দিবস আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্‌যাপনের কর্মসূচিও আছে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে। এ ছাড়া টেলিভিশন চ্যানেলগুলোও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

বাংলাটিভি/রাজ

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button