fbpx
প্রধানমন্ত্রী

খুনি ও অর্থ পাচারকারীদের ক্ষমা নাই: প্রধানমন্ত্রী

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খুনি ও অর্থপাচারকারীদের অবশ্যই শাস্তি হবে।বৃহস্পতিবার বিকালে লন্ডনের তাজ হোটেলে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখা ও দলের সহযোগী সংগঠনগুলো এই সভার আয়োজন করে।

২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে যান তারেক রহমান। চিকিৎসা শেষে তার দেশে ফিরে আসার কথা থাকলেও তিনি দেশে আসেননি।২০১৩ সালের ডিসেম্বরে তারেক রহমান, তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান এবং মেয়ে জাইমা রহমানের পাসপোর্টেও মেয়াদ শেষ হলেও তারা নবায়নের আবেদন করেননি। আর ২০০৪ সালের ২ জুলাই তারা পাসপোর্ট জমা দেন যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।এর মধ্যে দুর্নীতির দুই মামলায় তারেক রহমানের মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ২২ কোটি ১০ লাখ টাকারও বেশি জরিমানা হয়েছে। আর ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আজীবন কারাদণ্ড হয়েছে তারেক রহমানের।

যুক্তরাজ্য সফরে গিয়ে এর আগে দুইবার তারেক রহমানকে ফেরানোর বিষয়ে কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৮ সালের ১৭ এপ্রিল এক মতবিনিময়ে তিনি বলেছিলেন, তার (তারেক রহমান) উচিত আদালতের মুখোমুখি হওয়া। আমরা ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলছি। অবশ্যই একদিন আমরা তাকে ফেরত নেব।

আওয়ামী লীগ আয়োজিত সভায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। খুনি ও অর্থপাচারকারীরা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক, যত টাকাই খরচ করুক, তাদের কোনো ক্ষমা নেই এবং জাতি তাদের ক্ষমা করবে না। আদালত খুনি ও অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। আমরা এই রায় কার্যকরের পদক্ষেপ নেব। তারা যত স্লোগানই দিক, যত তিরষ্কারই করুক, তাদের অবশ্যই শাস্তি হবে।

সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির অপপ্রচারের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, যাদের জন্মের কোনো বৈধতা নেই তারাই সবকিছুতে অবৈধ খুঁজে বেড়ায়।‘মিথ্যা নিয়ে কারবার করাই বিএনপির ব্যবসা এবং তারা এতিমের অর্থ আত্মস্যাৎ করে এবং বিদেশে অর্থ পাচার করে বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক বনে গেছে। তবে, আমি বিশ্বাস করি, সত্যের জয় হবেই।

গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আপনাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে এবং দেশের ইতিহাসকে বিকৃত করতে না পারে।

১০ মে  লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টায় হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ভিভিআইপি ফ্লাইট নম্বর বিজি ২০২ যোগে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন তিনি। শনিবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের।

বাংলাটিভি/পিয়াস

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button