২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮তে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে ৬৮ শতাংশ। গত বছর বাংলাদেশে এফডিআই রেকর্ড এসেছে ৩৬০ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এর আগের বছর ২০১৭ সালে এফডিআই এসেছিল ২১৫ কোটি ডলার। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার প্রকাশিত বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটি বলছে,একই সময়ে ভুটানের বিনিয়োগ কমেছে ১৬০ শতাংশ।
সোমবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বিশ্ব বিনিয়োগ রিপোর্ট-২০১৯ এ বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। সেখানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
বিদেশি বিনিয়োগে আগের বছরগুলোর তুলনায় বেশি কেন—এ বিষয়ে বৈশ্বিক বিনিয়োগ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর জাপানি তামাক কম্পানি জাপান টোব্যাকো (জেটি) বাংলাদেশের আকিজ গ্রুপের মালিকানায় থাকা ইউনাইটেড ঢাকা টোব্যাকো কম্পানি লিমিটেড কিনে নেওয়ায় এ বছর বেশি বিনিয়োগ এসেছে। জেটি ইউনাইটেড টোব্যাকো কিনতে খরচ করেছে ১৫০ কোটি ডলার। এ ছাড়া গত বছর বিদ্যুতেও বড় আকারের বিনিয়োগ পাওয়া গেছে। বস্ত্র ও পোশাক খাতে বিনিয়োগ এসেছে ১৩০ কোটি ডলার।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, বাংলাদেশে ১০ বছর ধরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটা ধারাবাহিকতা বিরাজ করছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও রয়েছে। বিনিয়োগের জন্য এখন উপযুক্ত জায়গা বাংলাদেশ। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে এখন বিনিয়োগের অন্যতম এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এসব কারণে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বেড়েছে। বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া এবং উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাওয়ার পথে এই স্থিতিশীলতা অত্যন্ত জরুরি। পাশের দেশ ভারতে গত বছর এফডিআই এসেছে চার হাজার ২২৮ কোটি ডলার। চীনে এসেছে ১৩ হাজার ৯০৪ কোটি ডলার। ভিয়েতনামে এসেছে এক হাজার ৫৫০ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক মোঃ আবুল কালাম আজাদ ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট এর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর প্রতিবেদনটি উপস্থাপনা করেন।
বাংলা টিভি/শাহেল মাহমুদ