fbpx
অন্যান্যআন্তর্জাতিক

সেন্টমার্টিন আবারো মিয়ানমারের মানচিত্রে, রাষ্ট্রদূতকে তলব

প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমার আবারো সেন্টমার্টিনকে নিজেদের বলে দাবি করেছে। দেশটির সরকারি একটি ওয়েবসাইটের মানচিত্রে বাংলাদেশের সেন্টমার্টিনকেও আবারও মিয়ানমারের মধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। বারবার এই আচরণের কারণ জানতে চেয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’কে আজ বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে।

এর আগে, গত অক্টোবরেও এই সেন্ট মার্টিনেক নিজেদের দাবি করেছিল দেশটি। তখনও এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে একটি কূটনৈতিক চিঠি দেয় বাংলাদেশ।

গত ৬ অক্টোবর (শনিবার) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সমুদ্র বিষয়ক) অবসরপ্রাপ্ত নৌ কর্মকর্তা মো. খুরশেদ আলমের দফতরে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’কে তলব করা হয়। তখন রাষ্ট্রদুতকে বলা হয়, মিয়ানমার সরকার গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে চাইছে। সে দেশের সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশের সেন্টমার্টিনকে বৈশ্বিক অঙ্গনে নিজেদের বলে প্রচার করছে, যা খুবই আপত্তিজনক। মিয়ানমার যদি এমন আপত্তিজনক কাজ চালিয়ে যেতে থাকে, তবে বাংলাদেশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।

এসময় রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’র হাতে একটি কূটনৈতিক চিঠি ধরিয়ে দেওয়া হয়। সেন্টমার্টিন যে বাংলাদেশের অংশ, তার পূঙ্খানুপুঙ্খ প্রমাণ তুলে ধরা হয় ওই চিঠিতে। পাশাপাশি মিয়ানমারের এমন আপত্তিকর কার্যকলাপের জবাবও চাওয়া হয়। এরপর মিয়ানমারের মানচিত্র থেকে সেন্টমার্টিনকে সরিয়ে নিলেও এখন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। পররাষ্ট্র সচিব মো শহীদুল হক বলেন, কী কারণে মিয়ানমার এমন আচরণ করছে, তা বলা মুশকিল। আর এর কারণ জানতেই রাষ্ট্রদূতকে ডাকা হয়েছে তিনি মন্তব্য করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, ১৯৩৭ সালে অবিভক্ত ভারতের অংশ হিসেবে ছিল সেন্টমার্টিন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় সেন্টমার্টিন পাকিস্তানের অংশে স্থান পায়। পরে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সময় সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের অংশে ছিল।

এদিকে, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ ছিল। সর্বশেষ ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ সমুদ্রসীমা বিষয়ক জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল (আইটিএলওএস) বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমা বিষয়ক বিরোধ নিষ্পত্তির রায় দেন। ওই রায়েও সেন্টমার্টিনকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

বাংলাটিভি/রাজ

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button