নানা অনিয়মের মধ্যে চলছে জয়পুরহাট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ নিয়েই চলছে, জয়পুরহাট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। একদিকে নানা অনিয়ম করে নিজের পরিবারের মতো চালিয়ে, পছন্দমতো বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণার্থীদের ভর্তি নিচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ। অন্যদিকে, তাঁর শ্যালক ওয়াসিম মিয়াকে দিয়েই চালানো হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রম। এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রশিক্ষক এসব অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করলেও, অধ্যক্ষের দাবী সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।
২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জয়পুরহাট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি প্রকৌশলী দেলোয়ার উদ্দীন আহমেদ অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের পর থেকেই, রয়েছে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ। অধ্যক্ষের শ্যালক ওয়াসিম মিয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা সত্ত্বেও, ৩য় ব্যাচের ৪ মাস মেয়াদী সেইপ মোটর ড্রাইভিংয়ের প্রশিক্ষণার্থী,যা টিটিসির নীতিমালা বহির্ভূত। তিনি আবার সান্ধ্যকালীন ২মাস মেয়াদী আরেকটি ড্রাইভিং কোর্সের প্রশিক্ষক। কিন্তু তার নেই,বিআরটিএ প্রশিক্ষক কোর্সের সনদপত্র।
এছাড়াও প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতিদিনের ভাতা ও বৃত্তি দেয়াতে রয়েছে অধ্যক্ষের নানা অনিয়ম। টাকা নেয়ার নিয়ম না থাকলেও ভর্তি ফরমে নিচ্ছেন টাকা। তাছাড়া বিদেশগামী মহিলাদের হাউস কিপিংয়ের খাবারও কমিটি ছাড়া নিয়ন্ত্রণ করছেন তাঁর শ্যালক ও স্ত্রী।
অবশ্য অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা স্বিকার করেছেন টিটিসির প্রশিক্ষক জিএস সুলতান আল-আমিন।
তবে অভিযোগ মানতে নারাজ প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ
সিংকঃ ২.. প্রকৌশলী দেলোয়ার উদ্দীন আহমেদ,অধ্যক্ষ,জয়পুরহাট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র,জয়পুরহাট।
অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখে টিটিসির উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ জানানো হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
সিংকঃ মোহাম্মদ জাকির হোসেন,জেলা প্রশাসক,জয়পুরহাট।
এসব অনিয়ম, দুর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতি দূর করে কর্মসংস্থানে পিছিয়ে থাকা জয়পুরহাটের বেকার জনগোষ্ঠীকে কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে, দক্ষ জনশক্তিতে গড়ে তুলবে এমন প্রত্যাশা স্থানীয়দের।