fbpx
দেশবাংলাঅন্যান্য

মাগুরায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা ২ বছরের শিশু রোহানের

মাত্র দুই বছরের শিশু রিহানের ধ্যান জ্ঞান জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

যে বয়সী বাচ্চারা মোবাইল কিংবা টিভিতে কার্টুন, ছড়া গান দেখে, সেখানে এই শিশুটি শুধু দেখে শেখ মুজিবুর রহমান কে নিয়ে গান প্রামান্যচিত্র। দিনে শতবার নানাকে আদর করে। বঙ্গবন্ধুর রক্তাক্ত ছবি দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে, বলতে থাকে” ইশ নানা ব্যথা পেয়েছে, আল্লাহ নানাকে মাফ করে দাও। এই কথাগুলো বলছি একটি শিশুকে নিয়ে যার বাড়ি মাগুরা শহরের মোল্যা পাড়ায়।শিশুটির নাম আদিল আহনাফ রিহান। বয়স মাত্র ২ বছর ৪ মাস।রিহানের দাদা মোঃ শরিফুল ইসলাম ও নানা  মোঃ সুলতান শেখ দুজনই মুক্তিযোদ্ধা। বাবা শাহরিয়া নেওয়াজ পেশায় ব্যবসায়ী এবং মা সুলতানা ইয়াসমিন সোনিয়া বিসিএস (সাধারন শিক্ষা) ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা।

রিহানের ঘরের সব দেয়াল জুড়ে কেবল বঙ্গবন্ধুর ছবি, ব্যানার, পোস্টার। কোথাও শেখ মুজিবের ছবি দেখলে না নেওয়া পর্যন্ত শান্ত হয়না। তার সংগ্রহে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর অসংখ্য বই, ছবি, ব্যানার, পোস্টার, ক্রেস্ট, মগ সহ বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত অনেক কিছু।

দেশের কয়েক কোটি শিশুর মধ্যে এ শিশুটি যেন সত্যিই একেবারেই অন্য রকম। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জেনে তাকে ভালোবাসা এক রকম, কিন্তু একটা দুধের শিশু বঙ্গবন্ধুর সাথে যার কোনো রক্তের সম্পর্কই নেই তাও তাকে পাগলের মত ভালোবাসে যা সত্যিই অবাক হওয়ার মতো ঘটনায় বটে। শিশুটির মা সুলতানা ইয়াসমিন সোনিয়া জানান,মাত্র ৮ মাস বয়স থেকেই শিশু রিহান যে কিনা বঙ্গবন্ধু কে ছাড়া কিছুই বোঝে না। যাকে সে ডাকে ‘নানা’ বলে। নানার ছবি বুকে না জড়িয়ে ধরলে তার ঘুম আসেনা। খেলনা রেখে যে সময় কাটায় বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে। সকাল থেকে রাত অবধি কেবল নয়, মাঝরাতেও কেঁদে ওঠে নানার জন্য।

বঙ্গবন্ধুর জন্য এত পাগল তাই রিহানকে তার পরিবার সম্প্রতি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে গিয়েও দর্শনার্থীদের মনোযোগ কেড়ে নিয়েছিল এই শিশুটি। বঙ্গবন্ধুর সমাধির রেলিং আকড়ে ধরে রেখেছিল। পরিবারের সব সদস্যরা বুঝিয়েও তাকে আনতে পারছিলো না। একটা কথায় বার বার বলছিল, “নানা ব্যথা পেয়েছে, নানা এখানে ঘুমিয়ে আছে”।

এই শিশুটি কেবল বঙ্গবন্ধু নয় এ দেশের পতাকা ও জাতীয় সংগীতও খুব পছন্দ করে। পতাকা দেখলে খুশিতে আত্মহারা হয় উঠে। দেশের প্রতিটি শিশুই বড় হয়ে দেশপ্রেমিক হয়ে উঠুক এমনটিই প্রত্যাশা।

বাংলাটিভি/ রক্সী খান, মাগুরা প্রতিনিধি

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button