বাংলাদেশ
নাটোরে প্রথম ডিজিটাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান; বেড়েছে নিরাপত্তা, উপস্থিতি ও পাশের হার
নাটোরে প্রথম ডিজিটাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নববিধান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ২০১৬ সাল থেকে সফটওয়্যার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালুর পর থেকে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, উপস্থিতি ও পাশের হার বেড়েছে। আগামীর স্মার্ট বিদ্যালয় রুপান্তরে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে খুশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
২০১৬ সাল থেকে ফলাফলে উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধানে,সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে, প্রথম ডিজিটাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, নাটোরের নব বিধান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। বর্তমানে গড়ে ৯৯ ভাগের বেশি শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন এসএসসিতে।
শিক্ষার্থীরা বাড়ি থেকে বের হয়ে স্কুলে পৌঁছালো কিনা,এ নিয়ে অভিভাবকরা থাকতেন উদ্বিগ্ন। তবে ডিজিটাল বিদ্যালয় রুপান্তরের পর,ঘরে বসে অভিভাবকরা জানতে পারছেন, মেয়ের অবস্থান। শিক্ষার্থীরা ডিজিটালে হাজিরা দিলে, সাথে সাথে অভিভাবকরা এসএমএস এর মাধ্যমে নিশ্চিতো হন,বিদ্যালয়ে মেয়ের উপস্থিতি। শুধু তাই নয়,ছুটির পর ক্ষুদে বার্তা চলে যায়,অভিভাবকদের ফোন নম্বরে।
প্রতিটি ক্লাসরুমে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করে পাঠদানের সুযোগ থাকায়, শিক্ষকরা সহজে ছাত্রীদের মনোযোগ বাড়াতে পারেন। ফলে মেয়েদের ক্লাসে হাজির হওয়ার আগ্রহ যেমন বেড়েছে, তেমনি এসব আধুনিক যন্ত্র ব্যবহারেও আগ্রহী হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।এতে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, পরিপূর্ণ ব্যবহার হচ্ছে বিদ্যালয়ে। আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি শিক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
নববিধান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমান গোবিন্দ সরকার বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার শুরুর পর থেকে, শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিতি, ৪০ ভাগ থেকে বেড়ে প্রায় ৮০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ক্লাসরুমগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা যুক্ত করায়, মনিটরিং হয়েছে সহজ।
নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাসের ভূঁঞা বলেন, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে স্মার্ট রুপে গড়তে, সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে ।
বেসরকারী এ বিদ্যালয়টি নিজস্ব অর্থায়নে ডিজিটাল রুপে আনতে সক্ষম হয়েছে। বিদ্যালয়ের সব তথ্য অনলাইনে আপলোড দেয়ায়, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতো হয়েছে।