fbpx
বাংলাদেশঅন্যান্যরাজনীতি

সেনাপ্রধানের সাথে বৈঠক নিয়ে হাসনাতের বক্তব্যের সাথে দ্বিমত সারজিসের

সেনানিবাসে সেনাপ্রধানের সাথে বৈঠক নিয়ে জাতীয় নাগরিক পাটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুকে যে পোস্ট শেয়ার করেছেন তার সাথে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন উত্তরাঞ্চলের আরেক মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

ফেসবুকে দেয়া পোস্টে তিনি জানিয়েছেন সেদিন সেনানিবাসে তাদের ডেকে নেয়া হয়নি।

 সারজিস আলম ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ” বরং সেনাপ্রধানের মিলিটারি এডভাইজারের সাথে যখন প্রয়োজন হতো তখন ম্যাসেজের মাধ্যমে আমাদের কিছু জিজ্ঞাসা ও উত্তর আদান-প্রদান হতো। যেদিন সেনাপ্রধান পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিবসে অনেকটা কড়া ভাষায় বক্তব্য দিলেন এবং বললেন ‘এনাফ ইজ এনাফ’ তখন আমি সেনাপ্রধানের মিলিটারি অ্যাডভাইজারকে জিজ্ঞাসা করি আপনাদের দৃষ্টিতে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু দেখছেন কিনা?”

“সেনাপ্রধানের বক্তব্য তুলনামূলক straight-forward এবং harsh মনে হচ্ছে। তিনি আমাকে বললেন তোমরা কি এ বিষয়ে সরাসরি কথা বলতে চাও? আমি বললাম- বলা যেতে পারে। এরপরে সেদিন সেনাপ্রধানের সাথে আমাদের সাক্ষাৎ হয় । সেনাভবনে সেই রুমে আমরা তিনজনই ছিলাম। সেনাপ্রধান, হাসনাত এবং আমি” লিখেছেন সারজিস আলম।

একইসাথে হাসনাত যেভাবে সেনাপ্রধানের বক্তব্যকেও ‘অবজার্ভ ও রিসিভ করেছে’ তাতে তার নিজের কিছুটা দ্বিমত রয়েছে বলে লিখেছেন মি. আলম।

তিনি লিখেছেন, “আমার জায়গা থেকে আমি সেদিনের বক্তব্যকে সরাসরি ‘প্রস্তাব’ দেয়ার আঙ্গিকে দেখিনা বরং ‘সরাসরি অভিমত প্রকাশের’ মতো করে দেখি। ‘অভিমত প্রকাশ’ এবং ‘প্রস্তাব দেওয়া’ দুটি বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে”।

 সারজিস আলম একাধিকবার ফেসবুকের স্ট্যাটাসে লিখেছেন “পূর্বের তুলনায় সেনাপ্রধান অনেকটা স্ট্রেইথ – ফরোয়ার্ড ভাষায় কথা বলছিলেন।”

একইসাথে রিফাইন্ড আওয়ামী লীগের বিষয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহর বক্তব্যে ‘চাপ দেওয়ার’ যে বিষয়টি এসেছে সেখানে ‘চাপ দেওয়া হয়েছে’ এমনটি মনে হয়নি বলে ফেসবুকের স্ট্যাটাসে লিখেছেন মি. আলম। ‘বরং রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ না আসলে দীর্ঘ মেয়াদে দেশের পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে সমস্যার সৃষ্টি হবে সেটা তিনি অতি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলছিলেন।”

সারজিস আলম লিখেছেন, ”হাসনাতের বক্তব্যে যে টপিকগুলো এসেছিল, যেমন- “রিফাইন্ড আওয়ামীলীগ, সাবের হোসেন, শিরিন শারমিন চৌধুরী, সোহেল তাজ; এসব নিয়ে কথা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে কিনা, এই ইলেকশনে আওয়ামী লীগ থাকলে কি হবে না থাকলে কি হবে, আওয়ামীলীগ এই ইলেকশন না করলে কবে ফিরে আসতে পারে কিংবা আদৌ আসবে কিনা এসব বিষয় নিয়ে কথা হয়েছিল। এসব সমীকরণে দেশের উপরে কি প্রভাব পড়তে পারে, স্থিতিশীলতা কিংবা অস্থিতিশীলতা কোন পর্যায়ে যেতে পারে সেসব নিয়ে কথা হয়েছিল।”

sarjis2jpg

”কিন্তু যেই টোনে হাসনাতের ফেসবুক লেখা উপস্থাপন করা হয়েছে আমি মনে করি- কনভারসেশন ততটা এক্সট্রিম ছিল না। তবে অন্য কোন একদিনের চেয়ে অবশ্যই স্ট্রেইথ-ফরওয়ার্ড এবং সো-কনফিডেন্ট ছিল। দেশের স্থিতিশীলতার জন্য রিফাইন্ড আওয়ামীলীগের ইলেকশনে অংশগ্রহণ করা যে প্রয়োজনীয় সেই বিষয়ে সরাসরি অভিমত ছিল।”

ফেসবুকে হাসনাত আব্দুল্লাহর স্ট্যাটাস দেয়া প্রসঙ্গে সারজিস আলম লিখেছেন, সেনাবাহিনীর সাথে তাদেরসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর কেউ না কেউ যোগাযোগ রাখে। কিন্তু সেই প্রাইভেসি তারা বজায় রাখে।

”কিন্তু যেভাবে এই কথাগুলো ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এসেছে এই প্রক্রিয়াটি আমার সমীচীন মনে হয়নি বরং এর ফলে পরবর্তীতে যেকোনো স্টেকহোল্ডারের সাথে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা আস্থার সংকটে পড়তে পারে,” লিখেছেন সারজিস আলম।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button