
সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের স্ত্রী ফৌজিয়া ইসলামের ইজারা ও বায়না দলিলের বান্দরবানের ৩০৪ দশমিক ৫৯ একর জমি, ফ্ল্যাট ও ২৬টি শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে উপ-পরিচালক আবু মোহাম্মদ আনোয়ারুল মাসুদ জব্দ ও অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।
জব্দ করা স্থাবর সম্পদের মধ্যে ঢাকার গুলশানে জমিসহ একটি ফ্ল্যাট, চট্টগ্রামের হালিশহরে চারতলা বাসার এক-তৃতীয়াংশ। এছাড়া বান্দরবানের লামা উপজেলায় ইজারা ও বায়না দলিল মূলে ৫৩টি দলিলের প্রায় ৩০৪ দশমিক ৫৯ একর জমি।
জব্দ ও অবরুদ্ধের আবেদনে বলা হয়েছে, ফৌজিয়া ইসলামের বিরুদ্ধে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৬ কোটি ৯০ লাখ ২ হাজার ৪ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন ও দখলে রাখা এবং তার স্বামী মো. তাজুল ইসলাম কর্তৃক অসদুপায়ে উপার্জিত অর্থ দ্বারা স্ত্রীর নামে বর্ণিত ৬ কোটি ৯০ লাখ ২ হাজার ৪ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে সহায়তা প্রদান এবং ১১টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক ১৩ কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার ২০৩ টাকা জমা ও ১৩ কোটি ১৮ লাখ ৪৪ হাজার ৯৭৫ টাকা উত্তোলন করা হয়।
সর্বমোট ২৭ কোটি ১১ লাখ ৯৫ হাজার ১৭৮ টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরপূর্বক আয়ের উৎস আড়াল করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারাসহ পেনাল কোডের ১০৯ ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, মামলা তদন্তকালে তার নামে ব্যাংক হিসাবসমূহে গচ্ছিত অর্থের তথ্য পাওয়া যায়। যা তিনি যেকোনও সময় হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রক্রিয়া গ্রহণ করছেন বলে জানা যায়।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের (৬৯) নামে থাকা ঢাকা, কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জের ২৮ দশমিক ৬৩ বিঘা জমি, কুমিল্লার বিভিন্ন জায়গায় থাকা দুটি বাণিজ্যিক স্পেস, একটি ফ্ল্যাট ও একটি দোকান জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও তার নিজ ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৫০টি ব্যাংক হিসাব ও শেয়ারে জমা ২৮ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত।