fbpx
বাংলাদেশঅপরাধআইন-বিচার

চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার মেঘনা আলম

ঢাকার ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বিবিসি বাংলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া তাকে গ্রেপ্তার দেখান।

মামলার এজাহারে মেঘনা আলমের পাশাপাশি দেওয়ান সমির ও লুৎফুর রহমানকে আসামী দেখানো হয়।

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতিক/ প্রতিনিধি বা দেশীয় ধর্নাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে সুকৌশলে বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় তাদের সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছে।

গত ৯ই এপ্রিল রাতে মডেল মেঘনা আলমকে তার নিজ বাসা থেকে আটক করে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

পরদিন ১০ই এপ্রিল রাতে আদালত তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার আদেশ দেন। ডিবি পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ এ আদেশ দেন।

এরপর মেঘনা আলমকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।

সুনির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে মেঘনা আলমের আটকের ঘটনা নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।

এ নিয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে যে প্রক্রিয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেটা সঠিক হয়নি।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button