এরপর হঠাৎই ছন্দপতন। অধিনায়ক সাকিব ছিলেন আসা যাওয়ার মধ্যে। অধিনায়কের দেখানো পথে হাঁটেন ৩৮ বলে ৬৬ রান করা রনি। টি-২০ স্পেশালিষ্ট কাইরন পোলার্ড এবং আন্দ্রে রাসেল দ্রুত বিদায় নিলে ভেঙে যায় ঢাকার প্রতিরোধ। শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহান এবং মাহমুদুল হাসানরা শুধু ব্যবধানই কমিয়েছেন।
এর আগে তামিম ব্যাট হাতে তামিম প্রমাণ করে দেন, ওস্তাদের মার শেষ রাতে। আসরে সর্বোচ্চ তিনবার ডাক মারা তামিম ফাইনালে এসে খেল দেখালেন। একটা শিরোপার আক্ষেপ পূরণে নিজের সেরাটাই দিয়েছেন। টি-২০তে ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলেন। দলকে এনে দেন ১৯৯ রানের বিশাল সংগ্রহ।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য একেবারেই ভালো হয়নি কুমিল্লার। শুরুতেই দারুণ ফর্মে থাকা এভিন লুইসকে ফেরান রুবেল হোসেন। এরপর এনামুল হককে সঙ্গে নিয়ে প্রাথমিক চাপ সামাল দেয়ার পর শেষ দিকে ঝড় তুলে অপরাজিত থাকেন ১৪১ রানে।
স্কোর:
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১৯৯/৩ (২০)
তামিম ইকবাল ১৪১* (৬১)
এভিন লুইস ৬ (৭)
এনামুল হক ২৪ (৩০)
ইমরুল কায়েস ১৭* (২১)
আন্দ্রে রাসেল ৪-০-৩৭-০
রুবেল হোসেন ৪-০৪৮-১
সাকিব আল হাসান ৪-০-৪৫-১
সুনিল নারিন ৪-০-১৮-০
কাজী অনিক ২-০-১৯-০
শুভাগত হোম ১-০-১৪-০
মাহমুদুল হাসান ১-০-১২-০
ঢাকা ডায়নামাইটস: ১৮২/৯ (২০)
উপল থারাঙ্গা ৪৮ (২৭)
সুনিল নারিন ০ (০)
রনি তালুকদার ৬৬ (৩৮)
সাকিব আল হাসান ৩ (৫)
কাইরন পোলার্ড ১৩ (১৫)
আন্দ্রে রাসেল ৪ (৩)
নুরুল হাসান ১৮ (১৪)
শুভাগত হোম ০ (২)
মাহমুদুল হাসান ১৫ (৮)
রুবেল হোসেন ৫* (৫)
কাজী অনিক ১* (২)
বোলার:
মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ৪-০-৩৮-২
মেহেদী হাসান ৩-০-৩০-০
ওয়াহাব রিয়াজ ৪-০-২৮-৩
সঞ্জিত সাহা ১-০-১০-০
শহীদ আফ্রিদি ৪-০-৩৭-০
থিসারা পেরেরা ৪-০-৩৫-২
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ১৭ রানে জয়ী।