দলীয় সন্ত্রাসী আর পেটোয়া বাহিনী দিয়ে সাধারণ জনগণকে দাবিয়ে রাখা যাবে না মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এসময় তিনি বলেন,সারাদেশে জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ। ‘সময় এখন জনগণের। আমরা নিশ্চিত, এবার সকল বাধা অতিক্রম করে সারাদেশে সাহসী জনতা ধানের শীষের বিজয় ছিনিয়ে আনবে’। ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব দাবি করেন।
রিজভী বলেন, অবৈধ সরকার আগামী নির্বাচনে নিশ্চিত ভরাডুবি আঁচ করতে পেরে হামলা গ্রেফতার বাড়িয়ে দিয়েছে। টিকে থাকার জন্য শেষ মরণকামড় দিচ্ছে এখন।’
তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে-আইজিপি সব ডিআইজি ও এসপিদেরকে ঢাকায় তলব করেছেন। বিএনপি’র আড়াই লাখ নেতাকর্মীদের একটি তালিকা করেছে পুলিশ। ডিআইজি এবং এসপিদের সঙ্গে বৈঠকের পর চিরুনি অভিযান চালিয়ে ঐসব নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে নির্বাচনি মাঠ ফাঁকা করা হবে। মূলতঃ শত বাধা বিপত্তি-গ্রেফতার-হামলা উপেক্ষা করে চারদিকে ধানের শীষের যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে সেটিকে থামিয়ে দিতেই এই অভিযানের পরিকল্পনা নিয়েছে পুলিশ।’
সারাদেশে নৌকাডুবির আওয়াজ উঠেছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এখন পতনের ক্ষণগননা চলছে। তাই পলায়নপর সরকার নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং ২০ দলীয় জোট নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পরই চরম দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তারা জানতে পেরেছে ক্ষমতা এবার হাতছাড়া হয়ে যাবে।’
বিএনপিকে বেকায়দায় ফেলার জন্য যা যা করার দরকার আওয়ামী লীগ তাই করবে অভিযোগ করে তিনি বলেন বলেন, ‘পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলে বিভিন্ন অজুহাতে নির্বাচন বানচালও করে দিতে পারে তারা। সেই কারণে আমরা গতকাল দলের পক্ষ থেকে আজ-ই সেনা মোতায়েনের দাবি করেছিলাম। কিন্তু আমাদের দাবির ঘণ্টা খানেক পরেই তড়িঘড়ি করে ভোটের পাঁচ দিন আগে সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিল নির্বাচন কমিশন। এই সময়ের মধ্যে তারা নির্বাচনী মাঠ বিরান ভূমিতে পরিণত করবে আওয়ামী চেতনায় সাজানো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা।’
‘তবে আমরা সকল বাধা অতিক্রম করে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত ভোটের লড়াই করে যাবো। জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। জনগণই আমাদের শক্তি’— বলেন রিজভী।
বাংলাটিভি/এমআরকে