স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
কমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে সিগারেট এনে তাদের সামনে খাওয়া, নিয়মিত স্কুলে না যাওয়াসহ নানান অভিযোগ উঠেছে জয়পুরহাট ক্ষেতলালের জিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান শিক্ষক ওয়াদুদ ফারুকের বিরুদ্ধে।
এতে, একদিকে শিশু শিক্ষার্থীরা মানসিক বিরুপ প্রতিক্রিয়ায় পড়ছেন। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক স্কুলে নিয়মিত না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, ঐ স্কুলে পাঠদান ভালো না হওয়ায় বে-সরকারি প্রি-ক্যাডেট স্কুলে ছেলে-মেয়েদের ভর্তি করাচ্ছে। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেন সংশ্লিষ্টরা।
১৯২৫ সালে এলাকার শিক্ষানুরাগী মৃত আছির উদ্দিন মুন্সি দরিদ্র কৃষকের সন্তানদের নীরক্ষরতা দূর করতে তিনি জমি দান করেছিল। তারপর এলাকার কিছু দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতায় জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার জিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গড়ে তুলেছিল।
একসময় ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি এলাকার স্বনামধন্য হিসেবে পরিচিত ছিল। প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ার পর ওয়াদুদ ফারুক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ করে।
তারপর থেকেই এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নানা অনিয়ম, অব্যস্থাপনা, কমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে সিগারেট, ভাত আনাসহ নানা কারণে এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। গত কয়েক বছর আগে প্রায় ৪শত শিক্ষার্থী থাকলেও বর্তমানে ১৯১জন শিক্ষার্থীদের নিয়েই চলছে প্রতিষ্ঠানটির পাঠদান।
এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে সরকার নজর দিয়ে আগের অবস্থানে পাঠদান শুরু হোক এমনটায় বললেন, অভিভাবক ও স্থানীয়রা। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করলেন, প্রতিষ্ঠানের অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ওয়াদুদ ফারুক।
অভিযোগ পেলেই উর্দ্ধতনের নিকট জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নাদিরুজ্জামান।
এসব অব্যবস্থপনা, অনিয়ম বন্ধ করে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে পূর্বের মতো পাঠদান শুরু করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আনার দাবি অভিভাবক ও স্থানীয়দের।
রেজাউল করিম রেজা, জয়পুরহাট