বীর প্রতীক তারামন বিবি পাঠাগার নামসর্বস্ব মাত্র
১৯৭১ সালে লাল-সবুজ পতাকা ছিনিয়ে আনার যুদ্ধে শুধু পুরুষ নয়, নারীরাও অংশ নিয়ে ছিলেন। সেই বীর নারী মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে অন্যতম একটি নাম, তারামন বিবি। মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা আর কৃতিত্বের জন্য সরকার ১৯৭৩ সালে কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার তারামন বিবিকে বীর প্রতীক খেতাবে ভুষিত করেন।
বীর প্রতীক তারামন বিবির ১ম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল ১ ডিসেম্বর। এই দিনে কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার কাচারিপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন অদম্য সাহসী নারী মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি।
স্থানীয় তালতলা কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হলেও, তার মৃত্যুবার্ষিকীতে সরকার কিংবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ধরনের যোগাযোগ করা হয়নি। এমনকি তার কবরটিও পারিবারিক উদ্যোগে সংরক্ষণ করা হয়।
এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বীর প্রতীক তারামন বিবি পাঠাগার ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশ কেন্দ্র নামে একটি পাঠাগার ভবন উদ্বোধন করা হয়। যেটি নামসর্বস্ব মাত্র।
এখানে মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস নিয়ে নেই কোনো বই। দশ বছর পেরিয়ে গেলেও কোন উদ্যোগ না নেয়ায়, পাঠাগারটি আলোর মুখ দেখেনি। এতে ক্ষোভ জানায়, তারামন বিবির পরিবার ও স্থানীয়রা।
এদিকে, তারামন বিবির নামে পাঠাগাটির সংস্কারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানালেন, কুড়্রিগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যান আকবর হোসেন হিরো।
বীর প্রতীক তারামন বিবির আসল নাম তারামন বেগম। মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১ নম্বর সেক্টরে থেকে তিনি মুক্তিবাহিনীর জন্য রান্না, তাদের অস্ত্র লুকিয়ে রাখা, পাকিস্থানি বাহিনীর খবর সংগ্রহ করাসহ সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন তিনি।
মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী প্রতিনিধি