fbpx
দেশবাংলা

আশায় বুক বেঁধেছে রোহিঙ্গারা

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর গণহত্যার অভিযোগে নেদারল্যান্ডের হেগে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে বিচারকার্য শুরু হয়েছে। এতে ন্যায়বিচার পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করছেন রোহিঙ্গারা।

তারা বলছেন, আদালতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হলে তারা নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়াসহ মিয়ানমারে ফিরতে পারবে নিজ দেশে। এ জন্য বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গারা তাকিয়ে আছে আইসিজের ঘোষিত রায়ের দিকে।

এদিকে, সচেতন মহলের অভিমত, এর বিচার শুরু হওয়া বাংলাদেশের কূটনৈতিক সফলতার প্রাথমিক ধাপ।

গণহত্যার অভিযোগ উত্থাপন করে গত নভেম্বর মাসে নেদারল্যান্ডের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত ওআইসির পক্ষভূক্ত হয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম অধ্যূষিত দেশ গাম্বিয়া। ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে গণহত্যা নিয়ে আইসিজের অভিযোগের প্রথম ৩ দিনের শুনানী।

আইসিজেতে স্বাক্ষ্য দিতে কক্সবাজারের উখিয়ার ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের ৩ জনের একটি প্রতিনিধি দল নেদারল্যান্ডের হেগে গেছেন। তারা আদালতে গণহত্যার স্বপক্ষে বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণাদি তুলে ধরেন।

আর রোহিঙ্গারা বলছেন, এর মধ্যদিয়ে আদালতের কাছে তাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতা মোহাম্মদ জুবায়ের বলছেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান জাতিগত নির্যাতন-নিপীড়নের সুষ্ঠ বিচার পাবেন।

স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা বলছেন, আইসিজেতে শুরু হওয়া বিচারকার্যটি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশের  কূটনৈতিক সফলতার প্রাথমিক ধাপ।

আন্তর্জাতিক আদালতের রায় মিয়ানমারের ওপর একটা বড় চাপ সৃষ্টি করবে পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের যে দাবি, তারা সম্মানের সাথে নিজ দেশে ফিরে যেতে চায় তার পথও সুগম হবে এমনটি জানালেন, জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন।

আইসিজেতে বিচারকার্য হওয়ার খবর উখিয়া ও টেকনাফের ক্যাম্পগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে খুশিতে আশায় বুক বেধেঁছে রোহিঙ্গারা।

আমিনুল হক, কক্সবাজার প্রতিনিধি

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button