কুমিল্লায় সরিষার বাম্পার ফলন

আবহাওয়া, সেচের জন্য পর্যাপ্ত পানি ও মাটি উর্বর হওয়ায় কুমিল্লায় ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে। সরিষা চাষেও সফল এই অঞ্চলের কৃষকরা। এদিকে, গেলো বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আর আগামী বোরো আবাদে বাড়তি আয়ের সম্ভাবনায়, জামালপুরে সরিষা আবাদ করেছেন কৃষকরা। অন্যদিকে, লক্ষ্মীপুরে অনুকুল পরিবেশ থাকায় সরিষার ভাল ফলন হয়েছে।
পরমানু কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের কুমিল্লা উপকেন্দ্র বিনা সরিষা-৪ ও ৯ দুটি নতুন সরিষার বীজ উদ্ভাবন করেছে। এই দুটি বীজের বৈশিষ্ট হচ্ছে, আমন ধান কাটার পর কোন প্রকার চাষ ছাড়াই এই দুই জাতের সরিষা চাষ করা যায়।
এতে আবাদের ৮০ থেকে ৮৫ দিনের মধ্যে ফল পাওয়া যায়। এই সরিষা থেকে ৪৩ শতাংশ তেল উৎপাদন করা যায়, যা তেলের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নতুন বীজ উদ্ভাবন হওয়ায় সরিষা চাষে অধিক লাভের আশা করছেন কৃষকরা।
বিনা উপকেন্দ্রের উপ-পরিচালক সিফাতে রাব্বানা খানম জানায়, এরই মধ্যে এই বীজ কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
এদিকে, অনুকুল পরিবেশ আর বারি-১৪ ও টরি-৭ জাতের বীজের সহজ লভ্যতায়, জামালপুরের ৭টি উপজেলায় ২০ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। গেল বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে, আর আগামী বোরো মৌসুমে বাড়তি আয়ের জন্য কৃষকরা ঝুঁকছেন সরিষা আবাদে।
রোগ বালাই না হওয়ায় এবার উৎপাদন ভাল হবে এবং কৃষকরা বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে মনে করছেন, জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আমিনুল ইসলাম।
লক্ষ্মীপুরে সরিষা মাঠে চোখ জুড়ানো অপার সৌন্দর্যের সমারোহ। জেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার ৫টি উপজেলায় ২৮৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে সদরে ৭৫, রায়পুরে ১৭৪, রামগঞ্জে ১৫, রামগতি ৫ ও কমলনগরে ১৬ হেক্টর জমি।
বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং সরিষা বিক্রি করে আর্থিকভাবে সচ্ছল হবে এমনটাই কৃষকরা প্রত্যাশা করছেন কৃষকরা।