fbpx
বিএনপিরাজনীতি

প্রস্তাবিত বাজেট উচ্চবিলাসী ও বাস্তবতা বিবর্জিত: মির্জা ফখরুল

প্রস্তাবিত বাজেটকে উচ্চবিলাসী ও বাস্তবতা বিবর্জিত উল্লেখ করে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার কেবল অর্থের সংখ্যা বাড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, করোনা সংকট মোকাবেলায় বিশেষ বাজেটের দাবি থাকলেও, বরাবরে মতোই জনগণের স্বার্থবিরোধী বাজেট দিয়েছে সরকার। শুক্রবার বিকেলে দলের বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’ শিরোনামের বাজেট প্রকৃত অর্থে একটি অন্তসারশূন্য কল্পনাপ্রসূত কথার ফুলঝুড়ি ছাড়া আর কিছুই নয়। অর্থমন্ত্রী এই বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারণ করেছেন ৮.২ শতাংশ। আমদানি, রফতানি, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ইত্যাদি ম্যাক্রোইকোনমিক ইনডিকেটরগুলো আলোচনা করলেই স্পষ্ট যে ৮.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন নিতান্তই কল্পনাপ্রসূত।

তিনি আরও বলেন, উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে দুই লাখ পাঁচ হাজার কোটি টাকা। অথচ করোনা সংকট মোকাবেলায় মাত্র ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। উন্নয়ন খাত থেকে এক লাখ কোটি টাকা করোনা সংকট মোকাবেলায় দেওয়া যেত। কারণ, উন্নয়ন খাতে শুধু লুটপাট হয়।

তিনি বলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতে বরাদ্দ কমিয়ে দেয়া হয়েছে। অথচ এখনও আম্ফানের ধকল চলছে। উপকূলীয় বাঁধগুলো মেরামত হয়নি। লাখ লাখ মানুষ জলাবদ্ধ রয়েছে। কৃষকদের উৎপাদনের উপকরণ যেমন– বীজ, সার ইত্যাদির মূল্য হ্রাসের তেমন কিছুই বলা হয়নি বরঞ্চ রাসায়নিক সারের ক্ষেত্রে গত বছরের মূল্যই বহাল রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাজেটে স্বর্ণ আমদানিতে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এতে স্বর্ণের দাম কমবে। স্বর্ণের দাম হ্রাসের এ প্রস্তাবে জুয়েলারি দোকানের লবি এবং বিত্তবানরাই লাভবান হবে। সাধারণ মানুষ এবং মধ্যবিত্তদের মধ্যে যারা সংকটকালে স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করে দিতে বাধ্য হবেন তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এছাড়া কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করাসহ কৃষিখাতকে যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে মূল্যায়ন করা হয়নি। জিডিপি ও রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা দৃশ্যমানভাবেই প্রতারণার শামিল।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button