শুক্রবার রাতে এশার নামাজের সময় এ বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ জনের মতো মুসল্লি ছিলেন। বিস্ফোরণে তাদের প্রায় প্রায় সবাই দগ্ধ হন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মোট ৩৭ জন চিকিৎসাধীন। রাতে হাসপাতালে ভর্তির পর শনিবারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাড়ায় ১৭
শনিবার (৫ সেপ্টম্বর) শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, চিকিৎসাধীন সবাই আশঙ্কাজনক,কেউ আশঙ্কামুক্ত নয়।
ডা. সামন্ত লাল সেন শুক্রবার জানান, দগ্ধদের মধ্যে বেশির ভাগেরই মেজর বার্ন। প্রাথমিকভাবে অ্যাসেসমেন্ট চলছে, তবে কারও অবস্থা আশঙ্কামুক্ত নয়। দগ্ধদের অনেককে আইসিইউতে পাঠানো হয়েছে। সব কিছু শেষ না হওয়া পর্যন্ত সঠিকভাবে কত জনকে কোথায় নেওয়া হলো, সেটা বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এক কথায় বলতে গেলে, বেশিরভাগেরই পুড়ে যাওয়ার পরিমাণ অনেক বেশি।
এ সময় ডা.সামন্ত লাল বলেন,আমাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোন দিয়েছিলেন। তিনি দগ্ধদের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন। চিকিৎসার সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা তার নির্দেশনা অনুযায়ী সব ব্যবস্থা করেছি। যারা এখানে চিকিৎসাধীন সবাই আশঙ্কাজনক। আমরা তাদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।
এ দিকে ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আরেফিন জানান, ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৮-৯ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর আগে স্থানীয়রা বেশিরভাগ দগ্ধ ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। দগ্ধদের অবস্থা এত খারাপ ছিল যে, তাদের শরীরে হাত দেওয়া যাচ্ছিলো না।
বাংলাটিভি/শহীদ