করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকারের পক্ষ থেকে নো মাস্ক নো সার্ভিস এমন নির্দেশনা থাকলেও মানছেন না সাধারণ মানুষ। খোদ সরকারী অফিসগুলোতে দেখা যায় সেবা দাতা ও গ্রহীতা উভয়েরই মাস্ক ব্যবহারে অনীহা। আবার মাস্ক ব্যবহারকে বিলাসিতা বলছেন নিম্ন আয়ের মানুষ । বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনগনকে সচেতন করা গেলে এবং মাঠ পর্যায়ে সরকারি নির্দেশনার বাস্তবায়ন হলে শীতেও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব করোনার সংক্রমণ।
করোনার সংক্রমণরোধে ঘরের বাইরে মাস্ক পরার বিষয়টি সরকারি নির্দেশনায় আগে থেকে থাকলেও সম্প্রতি এই নিয়ম মানার ক্ষেত্রে অনেকটাই উদাসীন সাধারণ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে গত কয়েক সপ্তাহ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আগের তুলনায় কমে এলেও আসছে শীতে মহামারীর ‘সেকেন্ড ওয়েভ’ আসার আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ অবস্থায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কেউ মাস্ক ছাড়া গেলে তাদের সেবা না দেয়ার সরকারি নতুন নির্দেশনা থাকলেও বাস্তবচিত্র সম্পুর্ন ভিন্ন।
সরকারের নেয়া এমন সিদ্ধান্তের বিষয়টি অবগত নন বলে জানান নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী। তিনবেলা খাবারের যোগান দিতে যাদের হিমশিম খেতে হয়, মাস্ক তাদের কাছে খুব বেশি গুরুত্বপুর্ন নয় বলে মনে করেন তারা।
রাজধানীর কমলাপুর রেলষ্টেশনে গিয়ে দেখা যায় বেশির ভাগ টিকিত প্রত্যাশিদেরই ছিল না কোন মাস্ক। সরকারের পদক্ষেপ করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে অনেকটাই কার্যকরী ভুমিকা রাখবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, স্বাস্থ্য নির্দেশনার বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে ব্যাপক প্রচারণা প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
আসছে শীত, বাড়ছে করোনার ঝুঁকি। সংক্রমন ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে মাস্ক ছাড়া কোন সেবা না দেয়ার ঘোষণা থাকলেও মাঠ পর্যায়ে তা মানছেন না বেশির ভাগ মানুষ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু ঘোষণা বা নির্দেশনাই নয়, বাস্তবায়নের বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে সবার আগে।
বাংলাটিভি/শহীদ