কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না রাজধানীর কাঁচাবাজার

কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না রাজধানীর কাঁচাবাজার। সরকারের নানা পদক্ষেপের পরও প্রতিকেজি আলু এখনও বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। বাড়তি দাম আমদানি করা চায়না আদারও। তবে স্বস্তির বিষয়, কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। এ ছাড়া, বাজারে শীতকালীন শাক-সবজির পর্যাপ্ত যোগান থাকলেও, বিক্রি হচ্ছে চড়া দামেই। এর কারণ হিসেবে বিক্রেতারা দুষছেন আড়তদের; আর, মনিটরিংয়ের অভাবকে দায়ী করছেন ক্রেতারা।
সরকার নির্ধারিত আলুর দর কেজিপ্রতি ৩৫ টাকা হলেও, রাজাধানীর কোথাও এ দামে আলু মিলছে না। বাজারে এখনও আলুর কেজি প্রকারভেদে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। দাম না কমার পেছনে আড়তদারদেরকেই দুষছেন খুচরা বিক্রেতারা।
আমদানিকৃত চায়না আদাও বাজারে নেই বললেই চলে। তাই দামও যেন আকাশছোঁয়া। সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, সরকারের যথাযথ মনিটরিং না থাকায় ইচ্ছেমতো দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা।
তবে কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের দাম। মানভেদে কেজিপ্রতি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে।
এদিকে, বাজারে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ পর্যাপ্ত হলেও, দাম এখনো সাধারণের নাগালের বাইরে। প্রতিকেজি কাঁচামরিচ এখনও বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে দেড়’শ টাকায়। মাঝারি আকারের প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শিমের কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা এবং অন্যান্য সবজিও বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে।
৪ নভেম্বর রাত থেকে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায়, বাজারে বেড়েছে ইলিশের সরবরাহ। খাল, বিল, নদীনালায় বিভিন্ন দেশি মাছ ধরা পড়ায় কিছুটা স্বস্তি মিলছে মাছের বাজারে।
বাংলাটিভি/শহীদ