
গোটাবিশ্বই এখন ডায়াবেটিস মহামারিতে ভুগছে বলে দাবী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রগুলোতে এর হার বেশি বলেও জানান তারা। একই সঙ্গে, ডায়াবেটিস রোগীদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি বলেও মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তবে, অগ্রিম সচেতনতায় এ রোগ প্রতিরোধ সম্ভব বলেও অভিমত বিশেষজ্ঞদের।
তার মতো এমন অংসখ্য মানুষ ভুগছেন নীরব ঘাতক ডায়াবেটিসে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, বিশ্বে বর্তমানে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪২ কোটিরও বেশি। আর বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগী রয়েছে প্রায় ৯০ লাখ।
এ সংখ্যা বছরে এক লাখ ক’রে বাড়ছে। ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান ১০ম। আর শঙ্কার বিষয় হলো, প্রতি দুইজনে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ জানেনই না যে, তিনি ডায়াবেটিস আক্রান্ত। এতে ঝুঁকি বেড়ে যায় বহুগুণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরাসরি এ রোগে মানুষের মৃত্যুর হার তুলনামূলক কম হলেও, পরোক্ষভাবে এর কারণে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ লোকের প্রাণহানি ঘটে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে এ হার আরও বেশি।
ডায়াবেটিসকে বলা হয় সব রোগের মা। শরীরে এমন কোনো অঙ্গ নেই যেখানে ডায়াবেটিস তার ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে না। তাই করোনা সংক্রমণে যারা সবচে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ তাদের মধ্যে ডায়াবেটিস রোগীরা অন্যতম।
তবে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি, সুচিকিৎসা নিলে সহজেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রেখেও প্রায় স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায়।
চিকিৎসকদের মতে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে জীবনযাত্রার মান ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের পাশাপাশি, বাড়াতে হবে কায়িক পরিশ্রম, হাঁটাচলা ও ব্যায়ামের গুরুত্ব।
বাংলাটিভি/শহীদ