
অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রূপকল্প ২০৪১-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। আর রফতানিনির্ভর প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে রফতানি পণ্য বহুমুখীকরণের প্রস্তাব দিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় দারিদ্র্যের হার তিন শতাংশে নামিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার। এর আওতায় কমানো হবে গ্রাম ও শহরের বৈষম্য। গ্রামে বসবাসকারী ৮০ শতাংশ মানুষ শহুরে জীবনযাপনের সুবিধা পাবে। একই সঙ্গে, বাড়বে গড় আয়ূ ও মোট দেশজ উৎপাদন।
অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা দলিলে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করার পাশাপাশি, উৎপাদনমুখী শিল্পখাতের উন্নয়ন ও সেবা খাত বিকাশের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার কথা জানালেন শিল্পমন্ত্রী।
আর, পাট চা ও চামড়ার মতো স্থানীয় কাঁচামালভিত্তিক শিল্পখাতের প্রতি বিশেষ নজর দেয়ার পরামর্শ দিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। এতে করে শিল্পভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তোলার কাজ যেমন এগিয়ে যাবে, তেমনি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলেও মনে করেন তারা।
স্থানীয় শিল্পগুলোর সুরক্ষায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখার পাশাপাশি, শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে নতুন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তারা।
অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়: ২০২০-২৫ সাল নাগাদ প্রতিবছর গড়ে ৮.৫ শতাংশ হারে মোট দেশজ উৎপাদন-জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা।
অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় তিনটি বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে: ১) কর্মসংস্থান তৈরিতে প্রবৃদ্ধি বা জিডিপি গ্রোথ। ২) সবার সমান সুবিধা নিশ্চিত করতে সাম্য ও সমতা। ৩) জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করা।
হাকিম মোড়ল, বাংলা টিভি