রাজধানীর মশক নিধনে সরকার নানা পদক্ষেপ নিলেও, কাজের কাজ যেন কিছুই হচ্ছে না। শীত ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই রাজধানীতে বাড়ছে ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়ার মত মশাবাহিত রোগের প্রকোপ।
এ অবস্থায়, মশার বংশবিস্তার রোধে নগরবাসীর অসচেতনতাকে দায়ী করলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। এ সময়, মশা নিধনে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করারও আহ্বান জানান তিনি।
মশা নিয়ন্ত্রণে গ্যাল জানুয়ারি থেকে রাজধনীতে চিরুনি অভিযান শুরু করে দুই সিটি করপোরেশন। এতে, নালা নর্দমাসহ বাসাবাড়িতে ধ্বংস করা হয় মশার প্রজননস্থল। বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আদায় করা হয় জরিমানাও।
মশার বিস্তার রোধে কার্যকর পদক্ষেপের কথা জানালেন, এলজিআরডি মন্ত্রী। এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন হওয়ারও আহ্বান জানান, তিনি। মশা নিধনে সম্মিলিত প্রয়াসের কোনো বিকল্প নেই বলেও মত দেন মন্ত্রী।
এডিস মশা নিধনে অভিযোগের তীর প্রধানত ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এবং সরকারের দিকে। অনেকেই সরসারি তাদের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগও তুলছেন।মশা মারার ওষুধের কার্যকারিতা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে শুধু ওষুধ ছিটানো নয় বরং নিতে হবে সমন্বিত মশক ব্যবস্থাপনার মতো বিজ্ঞান সম্মত পদক্ষেপ। এমন মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
হাকিম মোড়ল, বাংলা টিভি