fbpx
অন্যান্যবাংলাদেশ

দেশে বাড়ছে বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা

দেশে প্রাকৃতিক বনভূমি যখন সংকুচিত হয়ে আসছে, তখন এর বিপরীত প্রবণতায় বনের বাইরে বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। মূলত বৃক্ষের অর্থনৈতিক মূল্যের প্রতি সাধারণ মানুষের সচেতনতা, কমিউনিটি উদ্যোগ এবং সরকারের সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির কারণেই লোকালয়ে গাছের সংখ্যা বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্বাধীনতা পরবর্তী দেশ পুনর্গঠনে খুবই অল্প সময় পেয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু এই সামান্য সময়কেও তিনি অসামান্য করে তুলেছিলেন তার অফুরন্ত জীবনীশক্তি দিয়ে।

দীর্ঘ নয় মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশের বৃক্ষ সম্পদের যে ক্ষতি হয়েছিল, তা থেকে উত্তরণের জন্য সারা দেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অভিযান চালু করেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই সূচনা হওয়া উপকূলীয় চরাঞ্চলে বনায়নকারী সফল দেশ হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বে অন্যতম।

দেশে বেড়েছে বনের বাইরে ও ভেতরের গাছের সংখ্যা। তিন বছর ধরে চলা ‘বাংলাদেশের বনভূমি ও বৃক্ষসম্পদ সমীক্ষা প্রতিবেদন-২০১৯’ অনুযায়ী, বাংলাদেশে বন আচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ মোট ভূমির ১২ দশমিক ৮ শতাংশ।  এর আগে যা ছিল ১০ দশমিক ৯ শতাংশ।

নতুন সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বনের বাইরেও গাছের পরিমাণ মোট ভূমির ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। সেই হিসাবে সব মিলিয়ে এখন বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ মোট ভূমির সাড়ে ২২ শতাংশ। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২৫ শতাংশ বনভূমির জন্য এখন ঘাটতি মাত্র আড়াই শতংশ।

বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এ প্রসঙ্গে বলেন, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী ভাবনা অনুসরণ ক’রে সরকার যে যুগোপযোগী সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন শুরু করেছে, তারই ফলাফল এখন পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের বনভূমির পরিমাণ ২৫ শতাংশে উত্তীর্ণ করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

সমীক্ষা অনুযায়ী দেশের বনভূমির আশপাশে থাকা মানুষেরা বন থেকে যে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ করে, তার আর্থিক মূল্য বছরে ২০ হাজার  ২৯২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।  বৃক্ষরোপণ দেশে একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে দেশের বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থানীয়দের আয়ও বাড়াচ্ছে।

আসাদ রিয়েল, বাংলা টিভি

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button