
দ্যা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ খ্যাত, ২০২২ বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। মোট ২২টি স্টেডিয়ামে হবে টুর্নামেন্টের খেলাগুলো। সবগুলো স্টেডিয়ামে চলছে জোর প্রস্তুতি। তাদের মধ্যে একটি লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়াম। ৮০ হাজার আসনের এ স্টেডিয়ামে হবে গ্রুপ পর্বসহ, আসরের ফাইনাল ম্যাচটিও।
বিশ্বকাপ ফুটবলের এ মহাযজ্ঞের আয়োজন কাতারে হলেও, এতে উপকৃত হবেন লাখো অভিবাসী শ্রমিকও। কারণ, বিশ্বকাপের আগেই শ্রমআইনে সংশোধন এনেছে মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটি।
লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়াম বা লুসাইল স্টেডিয়াম। ২০২২ বিশ্বকাপ ফুটবলের জন্য কাতারের অষ্টম ভেন্যু এবং আসরের ফাইনাল ম্যাচের চূড়ান্ত স্থান। রাজধানী দোহা থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এই মাঠেই আরব স্থাপত্য কৌশলের অনুপ্রেরণা নিয়ে, ব্রিটিশ স্থপতি ফস্টার অ্যান্ড পার্টনার্স এই স্টেডিয়ামটির নকশা করে। এটি কাতারের সবচেয়ে বড় প্রকল্পগুলির একটি- যা নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৪৫ কোটি ডলার।
দুই বছর পর অনুষ্ঠিত হবে ফুটবল বিশ্বকাপের মহারণ। আসরকে ঘিরে কাতারে ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়নও শেষের দিকে। ভারতের পর দ্বিতীয় শীর্ষ শ্রমবাজার হলো কাতার। স্টেডিয়াম নির্মানে দেশটিতে শ্রমিক ও কর্মীদের চাহিদা বাড়ায় বাংলাদেশিসহ ২০ লাখের বেশি অভিবাসী কর্মী এখানে কাজ করছেন। সম্প্রতি শ্রমিক ও কর্মীদের ওপর অত্যাচার ও জোর করে কাজ করানো নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিল দেশটি।
২০২২ বিশ্বকাপের জন্য স্টেডিয়াম তৈরির কাজে যুক্ত শ্রমিকদের নানা হুমকি দিয়ে কাজ করানোর অভিযোগও তুলেছিল আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো। এরপরই শ্রম আইনে পরিবর্তন আনে দেশটি। দীর্ঘ সমালোচিত কর্মসংস্থান ব্যবস্থা, কাফালা কার্যকরভাবে বাতিল করেছে আইএলও।
যাতে শ্রমিকদের আয় অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছে সংস্থাটি। কাফালা বাতিলের সিদ্ধান্তটি সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশিত হলেও, আইনটি কার্যকর হতে কমপক্ষে ছয় মাস সময় লাগবে।
মোহাম্মদ হাসিব, বাংলা টিভি