
২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক কাতার। আর এই বিশ্বকাপে চমক দেখাতে চায় দেশটি। সে লক্ষ্যেই এখনো চলছে নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ। আরব নাগরিকদের ঐতিহ্যবাহী হাতে বোনা টুপি গাহফিয়া’র আদলে তৈরি করা হচ্ছে একটি স্টেডিয়াম। যা অন্যসব স্টেডিয়ামের চেয়ে একেবারেই আলাদা।
নানা বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে প্রথমবারের মতো জমকালো বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ কাতার। এর অংশ হিসেবে আরব মুসলিমদের ঐতিহ্যবাহী টুপি গাহফিয়া’র আদলে একটি দৃষ্টিনন্দন স্টেডিয়াম নির্মাণ করছে দেশটি।
এতে ৪০ হাজার দর্শক মাঠে উপস্থিত হয়ে খেলাটি দেখতে পারবেন। বিশ্ব ফুটবলের এই আসরকে সামনে রেখে গোটা দুনিয়াকে চমক দেখাতে চায় দেশটি। অন্যসব সাধারণ স্টেডিয়ামের মতো দেখতে হবে না এটি।
ইরানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং জঙ্গি সংগঠনগুলোকে সমর্থন, অর্থায়ন ও লালন-পালনের অভিযোগে গত ৫ জুন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব। এই বিশ্বকাপ আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী নিজেদের পরিচিত করার কৌশলও নিয়েছে দেশটি। টুপির আদলে দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামটির নকশা করেছেন একজন কাতারি স্থপতি।
২০২২ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনে কাতার আটটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্টেডিয়াম নির্মাণ, নতুন বন্দর এবং ৩৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে মেট্রোরেল চালুসহ নানা ধরনের নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে। এসব অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির।
মোহাম্মদ হাসিব, বাংলা টিভি