কালের সাক্ষী ঝিনাইদহের নলডাঙ্গা রাজার ৭ মন্দির

ঝিনাইদহের ঐতিহাসিক নলডাঙ্গা জমিদার বাড়িটি কালের বিবর্তনে বিলীন হয়ে গেলেও এখনো দাঁড়িয়ে আছে নলডাঙ্গা রাজার ৭টি মন্দির। ব্যক্তি ও স্থানীয় প্রশাসনের সামান্য সহযোগীতায় কোনভাবে টিকে আছে ঐতিহাসিক এ মন্দিরগুলো।স্থানীয়দের দাবি, সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এটিই হতে পারে এই উপমহাদেশের অন্যতম তীর্থস্থান বা ভ্রমণকেন্দ্র।

সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে ঝিনাইদহের বেগবতি নদীর কোল ঘেষে গড়ে ওঠা নলডাঙ্গা রাজার ৭ মন্দির। প্রথম ভূষণ দেবরায় রাজা বাহাদুর ১৬৫৬ সালে এ মন্দিরগুলো প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে রয়েছে কালীমাতা, লক্ষী, গনেশ, দুর্গা, তারামনি, বিষ্ণু ও রাজেশ্বরী মন্দিরসহ সুদৃশ্য ৭ মন্দির।

ঐতিহাসিক এ মন্দিরগুলো সংস্কার করা হলে দেশি-বিদেশী পর্যটকের সংখ্যা বাড়ার পাশপাশি এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থা বদলে যাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

এদিকে, পর্যটকদের অভিযোগ দর্শনীয় এই স্থানটিতে নেই বিশ্রামাগার ও শৌচাগার, রয়েছে নিরাপত্তার ঘাটতি। তবে মন্দিরটি সংস্কারসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর আশ্বাস দিলেন, জেলা প্রশাসক।

সামান্য সাহায্য সহযোগীতায় বছরের পর বছর কোন রকমে সংস্কার হয় মন্দিরগুলো। এ অবস্থায় ঐতিহাসিক এ নিদর্শনটি ধরে রাখা কঠিন বলে জানান, মন্দির কমিটির সভাপতি।

প্রায় পাঁচশ বছর আগের ঐতিহাসিক এ নিদর্শণটি সংরক্ষণে সরকারের নজরদারি  বাড়ানোর দাবী জেলাবাসীর।

ডেস্ক রিপোর্ট, বাংলা টিভি