
দীর্ঘ একযুগ ধরে শেকলে বন্দি জীবন কাটাচ্ছেন, শেরপুরের ঝিনাইগাতীর গুরুচরন দুধনই গ্রামের কিশোরী আল্পনা। মানসিক প্রতিবন্ধি হওয়ায়,তাকে শেকলে বন্দি করে রাখা হয়েছে বলে জানায় পরিবারের সদস্যরা। আর স্থানীয়রা বলছেন, উন্নত চিকিৎসা পেলে আবারও সুস্থ জীবনে ফিরবে আল্পনা।
বিশ বছরের কিশোরী আল্পনা আক্তার। জানালা দিয়ে পৃথিবী দেখার চেষ্টা তার। অথচ, এই বয়সে নূপূরের ছন্দ তুলে সাথীদের নিয়ে ছুটে বেড়ানোর কথা ছিলো তার। কিন্তু শেকল পড়া পায়ে কাটাতে হচ্ছে, বন্দি জীবন।
২০০৮ সালে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়া আল্পনা,ঢাকায় বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়ে, হঠাৎ করে জ্বরে আক্রান্ত হয়।এরপর থেকে দেখা দেয়,মানসিক সমস্যা।পরে চিকিৎসা করালেও তেমন কোন ফল মেলেনি। অবশেষে শুরু হয় তার শেকলে বন্দী জীবন। তার চিকিৎসার খরচ জোগাতে বিক্রি করা হয়েছে ১০ শতাংশ জমি, ৫টি গরু। ঋণ করতে হয়েছে বেশকিছু টাকা। সব হারিয়ে তাই ইচ্ছা থাকলেও, আল্পনার ভালো চিকিৎসা করাতে পারছে না তার পরিবার। চেয়েছেন সরকারী ও বিত্তবানদের সহায়তা।
হতদরিদ্র পরিবারের জন্য, সরকার দুর্যোগ সহনীয় একটি ঘর দিয়েছে। সেই ঘরের একটি কক্ষে থাকে আল্পনা। তবে এখনো পর্যন্ত পায়নি প্রতিবন্ধি ভাতা। এদিকে,স্থানীয়রা বলছেন, উন্নত চিকিৎসা পেলে আবারও সুস্থ জীবনে ফিরবে আল্পনা।
সার্বিকভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন,উপজেলা চেয়ারম্যান।
এক ছেলে ও পাঁচ মেয়ের মধ্যে আল্পনা তৃতীয়। পরিবার, পরিজন ও আত্মীয়স্বজন কেউ বলতে পারছেন না, আল্পনার পা থেকে কবে খোলা হবে শেকল,কবে আবার ভেসে বেড়াবে মুক্ত বাতাসে।
বাংলাটিভি/রাজ