
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কাটার ফলে পরিবেশসহ ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। সৌন্দর্য বাড়ানোর নামে ঐতিহাসিক এই উদ্যানটির গাছ কাটার আইনগত বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।
স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কেটে নির্মাণ করা হচ্ছে রেস্টুরেন্টসহ চলাচলের জন্য ‘ওয়াকওয়ে’। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণ করার জায়গা দর্শনীয় করে তুলতে এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।
এরইমধ্যে উদ্যানের বেশকিছু গাছ কেটে ফেলাও হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় লাল দাগ দিয়ে কাটার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে আরও অনেক গাছ।
এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কেন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এলাকায় এ রকম রেস্টুরেন্ট করতে হবে, আর কেনই বা তার জন্য গাছের ওপর খগড় নেমে আসবে- এমন প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। ঘটনাস্থলে এসেও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
এরফলে থমকে গেছে সৌন্দর্য বর্ধণের কাজ। তবে রেস্টুরেন্টসহ চলাচলের জন্য ‘ওয়াকওয়ে’ নির্মাণ কাজ তৈরি করতে বদ্ধপরিকর সরকার।
গাছ কাটায় পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান।
গাছ কেটে উদ্যানের মধ্যে ব্যবসায়িক স্বার্থে রেস্তোরাঁ বা দোকান নির্মাণ শুধু আদালতের রায়ই নয়, পরিবেশ সংরক্ষণ আইনেরও পরিপন্থী বলে জানান নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব।
স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে মূল রূপে রক্ষারও দাবি জানান তারা। এসময় কেটে ফেলা গাছের জায়গায় নতুন গাছ রোপণের আহ্বান জানান পরিবেশবিদরা।
বাংলাটিভি/শহীদ