fbpx
বাংলাদেশঅপরাধআইন-বিচার

রিমান্ডের আবেদন খারিজ, কারাগারে রোজিনা

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ জসীম এ আদেশ দেন ।  একই সাথে রোজিনার জামিন আবেদন শুনানির জন্য ২০ মে দিন ধার্য করেন আদালত। এদিকে, রোজিনার  বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মানহানিকর বলে মন্তব্য করেছেন তার আইনজীবী। আর মামলা প্রত্যাহার করে রোজিনার মুক্তি দাবি করেছেন তার সহকর্মীরা। এছাড়াও রোজিনার ওপর নির্যাতন ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সংগঠন।

সরকারি নথি সরানো ও অনুমতি ছাড়া ছবি তোলার অভিযোগে প্রথম আলোর জেষ্ঠ্য প্রতিবেদক রোজিনার বিরুদ্ধে করার মামলায় রিমান্ড শুনানির জন্য মঙ্গলবার সকালে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে নেওয়া হয়।ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম তাঁর রিমান্ড নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ সময়, রোজিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আপত্তিকর ও মানহানীকর বলে মন্তব্য করেন  তার আইনজীবী। অপরদিকে, মামলার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। আর রোজিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তার সহকর্মীরা।

এদিকে, সাংবাদিক রোজিনাকে হেনস্তা ও তার বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি সংবাদ সম্মেলন আহবান করলেও সেখানে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকরা রোজিনার ওপর  নির্যাতনের বিচার চেয়ে ব্রিফিং বয়কট করেন।

মহামারি করোনার সংকটকালে স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি নিয়ে বেশ কয়েকটি  প্রতিবেদন করে আলোচনায় আসেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম। তার প্রতিটি প্রতিবেদনেই বেরিয়ে আসে  স্বাস্থ্য সেবা খাতের  শত কোটি টাকার  দুর্নীতির তথ্য।

আর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে এসব প্রতিবেদনের জেরে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের রোষানলের পড়েন তিনি। গত সোমবার দুপুরের পর থেকে রাত আটটা  পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি কক্ষে আটকে রাখা হয় রোজিনাকে। পরে রাতে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর এবং তার বিরুদ্ধে সরকারি নথি সরানো ও ছবি তোলার অভিযোগে মামলা হয়।  এর প্রতিবাদে রাজধানীর বিভিন্ন গণমাধ্যমের শতাধিক কর্মী রাতভর শাহবাগ থানায় অবস্থান করে রোজিনার মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ করে।

এদিকে, রোজিনার ওপর নির্যাতন ও তাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিনিটিসহ বিভিন্ন সংগঠন।

বাংলাটিভি/শহীদ

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button