সীমান্ত এলাকায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণ
সীমান্তবর্তী এলাকায় উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। নতুন শনাক্ত এসব রোগির দেহে করোনার উপস্থিতি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট কিনা, তা দ্রুত জিনোম সিকোয়েন্স করে নিশ্চিত হওয়ার কথা বলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে সংক্রমণ এড়াতে- চিহ্নিত এলাকা আলাদা করে, শনাক্তদের আইসোলেশন নিশ্চিত করা সহজ হবে বলে মনে করেন তারা। এদিকে, দেশে এখন পর্যন্ত ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের করোনা শনাক্ত হয়েছে বেশ কয়েকজনের।
সম্প্রতি দেশে শনাক্ত হয় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট। যেটি অতিমাত্রার সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন। শনাক্তের পর থেকেই এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে সীমান্তে চলাচল বন্ধ করে দ্রুত শনাক্ত রোগি আইসোলেশনে রাখাসহ কঠোর স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের তাগিদ দিয়ে আসছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কোভিড বিষয়ক পরামর্শক কমিটির মতামতে বন্ধও রাখা হয়েছে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত দিয়ে যাত্রী চলাচল।
তবে সম্প্রতি সীমান্তবর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় নতুন কোভিড রোগি শনাক্তের হার হঠাৎ বেড়ে ৫৫ শতাংশ হওয়ায়, উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এমন অতিমাত্রার সংক্রমণের কারণ ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট কিনা, তা দ্রুত পরীক্ষা করে দেখার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এজন্য দেরি না করে শনাক্ত রোগিদের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করে দেখতে হবে।
এদিকে, করোনাভাইরাস আক্রান্ত থেকে সুস্থ হওয়ার পর দেশে অন্তত দু’জনের শরীরে ভারতের মতো ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ শনাক্ত হয়।এছাড়া রাজধানীর একটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এমন একজন রোগির মৃত্যুর তথ্যও জানিয়েছে। ভারতে ব্যাপকহারে আক্রান্ত বিরল ছত্রাকজনিত এ রোগটি বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়া নিয়ে, সতর্ক থাকতে বললেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
চিকিৎসকরা জানান, এধরণে রোগির ক্ষেত্রেই অস্ত্রোপচার করে ছত্রাক আক্রান্ত কোষ ফেলে দেয়ার প্রয়োজন পড়ে। অনেক রোগী তাদের ওপরের চোয়াল ও চোখ হারান বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। যার চিকিৎসাও অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
বাংলাটিভি/রাজ