৩৫ বছরের বেশি বয়সী সাধারণ জনগোষ্ঠী এবং সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের করোনার টিকা নিবন্ধনের সুযোগ থাকলেও প্রাধান্য দেয়া হয়নি পণ্য পরিবহনের সাথে জড়িত কর্মীদের। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পণ্য আনা নেয়ার কাজ করছে তারা ফলে তাদের টিকা না দিলে করোনার ঝুঁকি বহুলাংশে বাড়বে বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে আগামীতে তাদেরকেও টিকা কার্যক্রমে নিয়ে আসার কথা।
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর আবারো শুরু হয়েছে গণটিকার নিবন্ধন প্রক্রিয়া। এতে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে ৩৫ বছরের বেশি বয়সী সাধারণ জনগোষ্ঠী,বীর মুক্তিযোদ্ধা বীরঙ্গনা,নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিসহ ২৮ শ্রেণি পেশার মানুষকে।
তবে এখানে উপেক্ষিত রয়েছে পণ্য পরিবহনের সাথে জড়িত শ্রমিকরা। দীর্ঘ লকডাউনের মধ্যেও সারা দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পণ্য পরিবহনসহ জরুরী নানা কাজে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন ঠিক সামনের সারির যোদ্ধাদের মতই। আর তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়ার দাবি এ সব পরিবহন শ্রমিকদের।
এসব শ্রমিকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা প্রদান না করে মহামারি মোকাবেলার কর্মসূচি সফল হবে বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
পরিবহন খাতের এসব সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের টিকা দেয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, নানা জটিলতার কথা। তবে আগামীতে বিষয়টি ভেবে দেখার কথাও জানানো হয়।
পরিবহন খাতের এ সব শ্রমিকদের টিকার আওতায় নিয়ে এসে তাদের সবাইকে সুরক্ষিত রাখতে সরকার এগিয়ে আসবে, এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
বাংলাটিভি/ এস