fbpx
দেশবাংলা

দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে কটিয়াদির জমিদার বাড়ি দেখতে

নেই প্রাচুর্য,নেই সু-বিশাল অট্টালিকা কিংবা আধিপত্য বিস্তারের কোন প্রভাব। তবুও প্রতিদিন অনেক দূর-দূরান্ত থেকে দেখতে আসে দর্শনার্থীরা। শুধু জরাজীর্ণ একটি মন্দির আজও দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে। বলছি কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া গ্রামের জমিদার বাড়ির কথা যার সাথে জড়িয়ে আছে ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায় ও তার বাবা কবি সুকুমার রায়ের জীবনী ইতিহাস।

ব্রিটিশ শাসনামলে ময়মনসিংহের জমিদার হরিকিশোর রায়ের পালিত ছেলে ছিলেন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্র কিশোর রায়। উপেন্দ্র কিশোর রায় স্কুল জীবন শেষ  করে লেখা পড়ার জন্য কলকাতায় চলে যান এবং এক পর্যায়ে সেখানেই থাকতে থাকেন তারই ছেলে কবি সুকুমার রায় ১৮৮৭ সালে ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।

সুকুমার রায় ছিলেন একাধারে লেখক,ছড়াকার,শিশুসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার।  কবি সুকুমার রায়ের আদর্শে গড়ে ওঠেন তার ছেলে বিশ্বনন্দিত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়। তার জীবন দশায় অস্কার পুরস্কার সহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। সত্যজিৎ  রায় ও  কবি সুকুমার রায়ের পৈতৃক জমিদার বাড়িটির মন্দিরসহ কিছু স্মৃতি চিহ্ন এখনো রয়ে গেছে যা আজ বিলুপ্তির পথে। পর্যটক ও এলাকাবাসীর দাবি এই জমিদার বাড়িটি সংরক্ষণের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হোক।

সরকারি ভাবে এখানে পর্যটকদের জন্য একটি রেস্টহাউজ নির্মাণ করা হলেও তার অবস্থা খুব খারাপ। যা পুনরায় মেরামত করার দরকার। সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক এই বাড়িটি সংস্কারের জন্য উপজেলা রাজস্ব তহবিল থেকে একটি  প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।  খুব শীঘ্রই এর কাজ শুরু হবে।

বাংলার প্রাচীন ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য ঐতিহাসিক  এই জমিদার বাড়িটি সরকারি ভাবে রক্ষণাবেক্ষণের দ্বায়িত্ব নিয়ে সংস্কার করা হলে এটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠতে পারে।

ডেস্ক রিপোর্ট/ বাংলা টিভি/ এস

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button