
আজ পবিত্র আশুরা, কারবালার শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক ঘটনার ঘটনাবহুল এ দিনটি মুসলমানদের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ত্যাগ ও শোকের প্রতীক হিসেবে দিনটি পালন করা হয় মুসলিমবিশ্বে।
করোনার কারণে গত বছরের মতো এবারও বাংলাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্ষিপ্ত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হবে।
বাংলাদেশে শিয়া সম্প্রদায় মর্সিয়া ও মাতমের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করে। তবে মূল আনুষ্ঠানিকতা হলো পুরান ঢাকায় হোসেনী দালান এলাকা থেকে শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিল। কিন্তু করোনার কারণে এবারও মিছিল বের হবে না। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা মধ্যে শিয়া সম্প্রদায় দিবসটি উৎযাপন করবে।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক বাণী দিয়েছেন।
হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম এই দিনে মহানবী হযরত মুহম্মদের (সা.) দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) এবং তার পরিবার ও অনুসারীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন। এ ঘটনা স্মরণ করে বিশ্বমুসলিম যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করে থাকে।
দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার সরকারি ছুটি। আশুরা উপলক্ষে জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলো বিশেষ প্রবন্ধ, নিবন্ধ প্রকাশ করবে। এছাড়া বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি রেডিও-টিভি চ্যানেলও এই দিনের তাৎপর্য নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করবে।
বাংলাটিভি/ এস