
শেরপুরের শ্রীবরদী সীমান্তবর্তী সোমেশ্বরী নদীতে, একটি সেতুর অভাবে বছরের পর বছর সীমাহিন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পার হচ্ছেন নানা বয়সী মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ,দেশ স্বাধীনের পর থেকে এ নদীর ওপর, একটি সেতু নির্মাণের দাবি থাকলেও, কর্ণপাত করেনি কেউ। যদিও বরাবরের মতোই আশ্বাসের বাণী শুনিয়েছে উপজেলা এলজিইডি।
ভারত থেকে নেমে আসা সোমেশ্বরী নদী বিচ্ছিন্ন করেছে, শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার গারো পাহাড়ের খারামোরা,রাঙাজান ও কোচপাড়া গ্রামবাসীদের। বেশিরভাগ সময় নদীতে পানি থাকে, হাঁটু পর্যন্ত।
আর একটু বৃষ্টি হলেই, পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি থাকে কানায় কানায় পূর্ণ। এতে নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে পারে না শিক্ষার্থীরা। বর্ডারে টহল দিতে পারে না বিজিবি সদস্যরা। প্রতিবেশিরা যেতে পারেন ওইসব গ্রামে। এতে চরম দুর্ভোগে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীসহ ১৫ হাজার মানুষ।
নদীর দু’পাশে তিনটি প্রাইমারি স্কুল,তিনটি মাদ্রাসা,মসজিদ,গির্জা ও সরকারি-বেসরকারি সংস্থার অফিস রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ,দেশ স্বাধীনের পর থেকে সেতুর দাবি জানিয়ে এলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি,শুধু মিলেছে আশ্বাসের বানী।
সেতু নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে নকশা ও মাটি পরীক্ষার কাজ চলছে,দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকল্প প্রণয়ণ করে, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে বলে, এবারও আশ্বাস দিয়েছে এলজিইডি। । আর আশ্বাস নয়,দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে নদীর ওপর সেতু,বদলে যাবে পাহাড়ি জনপদের জীবনযাত্রা,নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে পারবে শিক্ষার্থীরা, নতুন করে স্বপ্ন দেখতে চায় স্থানীয়রা।
বাংলাটিভি/ এস