
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে আখ চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হচ্ছেন,প্রান্তিক কৃষকরা।অন্যান্য ফসলের তুলনায় আখ চাষে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে এই অঞ্চলের চাষীদের।আর বেশি চাহিদার পাশাপাশি ভালো দাম পাওয়ায় অধিক লাভের মুখ দেখছেন আখ চাষীরা।
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা আখ চাষের জন্য বিখ্যাত। এখানকার চাষীরা প্রায় ২শ বছর ধরে বংশপরম্পরায় আখ চাষ করে জিবীকা নির্বাহ করে আসছেন। আর উপজেলার সরারচর ইউনিয়নের বেশির ভাগ কৃষক আখ চাষ করে নিজেদের ভাগ্য বদলেছেন। এই অঞ্চলের আবহাওয়া ও মাটি আখ চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায়,আখ মোটা ও খেতে সুস্বাদু হয়এবং ১৪ থেকে ১৫ ফুট লম্বা হয়ে থাকে। ঈশ্বরদী-১৬,মিছরি দানা ও ট্রেনাই এই তিন জাতের আখের চাহিদা বেশি থাকায় এবং বাজারমূল্য ও ভালো থাকায় এখানকার কৃষকরা এই জাতের আখের চাষ করে থাকে।
চলতি ২০২০-২১ অর্থ বছরে প্রায় ৩৫ হেষ্টর জমিতে মোট ২১০০ মেট্রিকটন আখের উৎপাদন হয়েছে।সাধারনত মধ্য অষ্টোবর থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত রোপনের কাজ চলে। আর জুলাই,আগষ্ট,সেপ্টেম্বর এই তিন মাস মাড়াইয়ের কাজ চলে। এই অঞ্চলে আখ খেতে ৫০ জন শ্রমিক সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করে মজুরি পাচ্ছেন,৫শ টাকা স্থানীয় পিরিজপুর,সরারচর,ভৈরবসহ বিভিন্ন বাজার এবং রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এই অঞ্চলের আখ বিক্রি হয়ে থাকে।
বাজিতপুরের আখ চাষের বিভিন্ন দিক তুলে ধরার পাশাপাশি উৎপাদন বাড়াতে নানা পদ্ধতির কথাও তুলে ধরেন,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ পরিচালক।
সরকারিভাবে সহায়তা পেলে এক দিকে আখের উৎপাদন বাড়বে,অন্যদিকে অর্থকরি এই ফসল রপ্তানী করে কৃষক লাভবান হবে,দেশ ও হবে সমৃদ্ধ,এমনটাই মনে করছেন কৃষকরা।
ডেস্ক রিপোর্ট/বাংলা টিভি/শহীদ