পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী আজ। সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্ম ও ওফাত দিবস। করোনা মহামারির কারণে রাজধানীতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় জসনে জুলুস আয়োজনসহ নানা কর্মসুচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে ধর্মের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করার আহবান জানান বক্তারা।
বিশ্বের সর্বত্রই যখন অত্যাচার অনাচার কুসংস্কার নিমজ্জিত ঠিক তখনই জগৎ আলো করে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন মানবতার মুক্তির দিশারী বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ । আর তার আগমনে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানাতে শরীয়ত সম্মত ভাবে খুশি উদযাপন করতেই এই আয়োজন।
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে জশনে জুলুসের র্যালি বের করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।দিবসটি উপলক্ষে রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়া।
অনুষ্ঠানে ধর্মীয় উস্কানিমুলক বক্তব্য দেয়া ও এ ধরনের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইন।এ সময় ধর্মের নামে দেশে বিভাজন ও অরাজকতা সৃষ্টি না করে সবাইকে এক হয়ে জনকল্যাণে কাজ করার আহবান জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এদিকে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে গুলিস্তান মহানগর নাট্যমঞ্চে কাজী বশির মিলনায়তনে আশেকানে গাউছিয়া রহমানিয়া মইনিয়া সহিদীয়া মাইজভান্ডারীয়া আলোচনা সভা ও জশনে জুলুসের আয়োজন করে।
এদিকে, মিরপুরে আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার উদ্যোগে মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার সদর দপ্তরে ঈদে মিলাদুন্নবী সম্মেলনের আয়োজন করা হয় ।
বাংলাটিভি/শহীদ