অবশেষে শিল্পীদের বহুদিনের আক্ষেপ ঘুচল। তাদের পক্ষ হয়ে কেউ সংসদে কথা বললেন। তুলে ধরলেন দীর্ঘদিনের দাবি। তিনি বরেণ্য অভিনেত্রী ও সাংসদ সুবর্ণা মুস্তাফা। সোমবার সংসদ ভবনে দাঁড়িয়ে শিল্পীদের পক্ষে কথা বলেছেন তিনি। শিল্পীকে পেশা হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। যার ফলে নানা বঞ্চনার শিকার হতে হয় তাদের। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সুবর্ণা মুস্তাফা।
তিনি বলেন, “১৯৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, চরমপত্র, ট্রাকে চড়ে ক্যাম্প থেকে ক্যাম্পে একদল শিল্পী ছুটে যাচ্ছেন দেশের গানে, গণশক্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ করতে। শরণার্থী শিবিরে নিচ্ছেন সেবকের ভূমিকায়। নব্বইয়ের স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলনে দিনের পর দিন রাজপথে কেটেছে এইসব শিল্পীদের। আর গত নির্বাচনে আমাদের শিল্পী সমাজের ভূমিকা প্রশংসারও ঊর্ধ্বে।
সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, ‘একজন সাধারণ কর্মচারী মাসিক বেতনের খতিয়ান দেখিয়ে ব্যাংক লোন নিতে পারেন। কিন্তু একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী, যিনি ওই চাকরিজীবীর চেয়ে অবশ্যই বেশি আয় করেন, নিয়মিত আয়কর দেন, কিন্তু সমস্ত কাগজপত্র দেওয়ার পরও সামান্য একটি হোমলোন পান না। আমি ব্যাংককে দোষারোপ করছি না। তারা তাদের নিয়মের মধ্যেই থাকবেন। শুধু ভরসা করতে পারছেন না, একজন শিল্পী মাসে মাসে লোনের কিস্তি শোধ করতে পারবে। কারণ শিল্পী কোনো স্বীকৃত পেশা নয়।
সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানিয়ে সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, ‘আপনি আমাদের শিল্পীদের সহায়। বারবার আমরা আপনার কাছেই ফিরে আসি। আপনার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মঞ্চনাটককে করমুক্ত করে দিয়েছিলেন। আপনার ভাই শহীদ শেখ কামাল মঞ্চে অভিনয় করতেন, সেতার বাজাতেন, ছবি আঁকতেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত মহিলা আসন-৪ থেকে জয়লাভ করেন সুবর্ণা মুস্তাফা। তিনি ছাড়াও কয়েকজন তারকা সংসদ সদস্য হয়েছেন বটে। কিন্তু এভাবে শিল্পীদের দাবি নিয়ে কেউ স্পষ্টভাষায় কথা বলেননি।
বাংলাটিভি/জাবেদ