
কিয়েভের কাছে রুশ বাহিনীর হামলায় ৭ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। দেশটির গোয়েন্দা বিভাগের বরাত দিয়ে রয়টার্স বলেছে, যুদ্ধের মধ্যে কিইভের কাছে পেরেমোহা গ্রাম ছেড়ে পালানোর চেষ্টার সময় তারা রুশ বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়।
এ ঘটনা নিয়ে রুশ কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আক্রমণ করার সব অভিযোগই তারা অস্বীকার করে এসেছে। রুশ বাহিনীর ঘেরাওয়ের মধ্যে থাকা শহরগুলো থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিতে ব্যর্থতার জন্য উল্টো ইউক্রেইন সরকারকেই তারা দায়ী করে আসছে। এদিকে ফ্রান্স বলেছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শান্তি স্থাপনের জন্য প্রস্তুত নন, সেটাই তিনি দেখাচ্ছেন।
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তার দেশের বাহিনী রাশিয়ান ট্যাক্টিক্যাল গ্রুপের ৩১টি ব্যাটালিয়নকে ‘নিস্ক্রিয় করার’ পর মস্কো নতুন করে সৈন্য পাঠাচ্ছে। তার ভাষায়, গত কয়েক দশকের মধ্যে রুশ বাহিনীকে এত বেশি ক্ষতির মুখে আর পড়তে হয়নি। যুদ্ধের এই ১৭ দিনে ১৩০০ ইউক্রেনীয় সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দেশটির প্রেসিডেন্টের ভাষ্য। শনিবার রাজধানী কিইভে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রুশ বাহিনী কিইভে ঢুকতে চাইল তাদের মরণপণ লড়াইয়ের মুখে পড়তে হবে।
“তারা যদি বোমা মেরে কিইভকে মিশিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, এ অঞ্চলের ইতিহাসকে স্রেফ মুছে ফেলার কথা ভাবে… আমাদের সবাইকে যদি ধ্বংস করতে পারে, কেবল তখনই তারা কিইভে ঢুকতে পারবে। এটাই যদি তারা চায়, তাহলে তারা চেষ্টা করে দেখুক।”রয়টার্স জানিয়েছে, জেলেনস্কি শনিবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। ফরাসি এবং জার্মান নেতা পরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আহ্বান জানান।
পরে ফরাসি প্রেসিডেন্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়, যুদ্ধ বন্ধ করার কোনো আগ্রহ তারা পুতিনের মধ্যে দেখতে পাননি। অন্যদিকে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ৭৫ মিনিটের ওই আলোচনায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।