fbpx
অনুষ্ঠানঅর্থনীতিবাংলাদেশ

করোনার ধাক্কা মোকাবিলায় ২১২৫ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক

বাংলাদশের আর্থিক ও আর্থিক খাতের নীতি শক্তিশালী করতে এবং করোনাকালের অর্থনৈতিক ধাক্কা মোকাবিলায় অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মসংস্থান ধরে রাখতে বাংলাদেশকে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। বর্তমান বাজারদরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এ ঋণের পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ১২৫ কোটি টাকা। ঋণের এ অর্থে বিদ্যমান কর্মসংস্থান অটুট রাখার পাশাপাশি করোনার ধকল সামলে দেশের প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশকে ফাস্ট রিকভারি অ্যান্ড রেজিলেন্স ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিটের আওতায় বিশাল অংকের এ অর্থ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

আন্তর্জাতিক এ আর্থিক সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটনে বোর্ড সভায় ঋণের এ ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে বলে শুক্রবার (১ এপ্রিল) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাংক কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে বাংলাদেশ সরকারের পাশে থাকবে। ভবিষ্যৎ ধাক্কাগুলোর প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আর্থিক খাতের নীতিসমূহ শক্তিশালী করতে সহায়তার অংশ হিসেবে ২৫ কোটি ডলার অর্থায়ন অনুমোদন করা হয়েছে৷

এ অর্থ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়াতে এবং প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে রাজস্ব ও আর্থিক খাতের সক্ষমতা বাড়াবে। এটি দক্ষতা উন্নত করতে এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। একইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনসহ ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলোর বিরুদ্ধে টেকসই উন্নয়ন করবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেছেন, ২০২০ সাল থেকে জরুরি সহায়তা, টিকাদান এবং অন্যান্য করোনা সংকট পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য বাংলাদেশকে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থায়ন করা হয়েছে। এ ঋণে সবুজায়ন, টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার করা হবে। কম কার্বন বৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করার জন্য তার নীতি এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামোকে শক্তিশালী করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টাকে আরও ত্বরান্বিত করবে।

এ প্রোগ্রামটি জাতীয় ট্যারিফ নীতির উন্নয়নে সহায়তা করে, যা বাণিজ্য কর আধুনিকীকরণে সহায়তা করবে। অনাবাসিক ডিজিটাল পরিষেবা সংস্থাসমূহসহ বিদেশী সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো হবে। যেমন- অনুসন্ধান, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ক্লাউড পরিষেবা সংস্থাগুলো আধুনিক হবে। ভ্যাট রিটার্ন জমা দিতে এবং অর্থ দেওয়ার কাজকে সহজ করা হবে।

এ কর্মসূচি সরকারের নগদ স্থানান্তর কর্মসূচিকে তরান্বিত করতে সাহায্য করবে। যা ভবিষ্যতের ধাক্কা মোকাবিলায় এবং নগদ-ভিত্তিক প্রোগ্রামের জন্য সরকার-টু-ব্যক্তি পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার বাড়াবে। জরুরি সহায়তার জন্য নতুন এবং বিদ্যমান সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করে বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড়সহ জলবায়ু-সম্পর্কিত সংকটকালে আরও দ্রুত সহায়তা দেওয়ার কাজ সহজ করবে।

এ অর্থায়ন বাংলাদেশকে সবুজ এবং টেকসই করতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে সহায়তা করবে দাবি করে বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ইকোনমিস্ট বার্নার্ড হ্যাভেন বলেন, আর্থিক ও আর্থিক খাতের নীতিসমূহ প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। যখন সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির কভারেজ এবং দক্ষতা বাড়ে তখন অর্থনৈতিক ধাক্কা এমনিতেই মোকাবিলা করা যায়। এ ঋণ অনুমোদন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় দরিদ্র ও দুর্বল জনগোষ্ঠীকে রক্ষায় সহায়তা করবে।

বাংলাটিভি/জাবেদ

 

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button