fbpx
অন্যান্যআওয়ামী লীগনির্বাচনপ্রধানমন্ত্রীবাংলাদেশমুজিববর্ষরাজনীতিসরকার

সমালোচনাকারীদের সারাদেশ ঘুরে কথা বলার অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

সরকারের উন্নয়নের সমালোচনাকারীদের সারাদেশ ঘুরে কথা বলার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেকে কথা বলার পর বলবেন, আমাদের কথা বলতে দেওয়া হয় না।

সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘এসডিজি বাস্তবায়ন পর্যালোচনা বিষয়ক দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলন, ২০২২’ অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকায় বসে অনেকেই সমালোচনা করেন, তাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, সারা বাংলাদেশটা আপনারা একটু ঘুরে দেখুন, তাহলে বুঝবেন পরিবর্তনটা কোথায় এসেছে কতটুকু এসেছে। এ বিষয়ে গ্রাম পর্যায়ে একটু যোগাযোগ করলে সেটা জানতে পারবেন।

তিনি বলেন, টেলিভিশনের মাধ্যমে এখন সবাই কথা বলতে পারেন, টক শো করতে পারেন। অবশ্য আমি জানি অনেকে কথা বলার পর বলবেন, আমাদের কথা বলতে দেওয়া হয় না। কিন্তু যখন টক শোতে কথা বলেন কেউ তো আপনাদের মুখ চেপে ধরেনি বা গলাও চেপে ধরেনি। সবাই যার যার ইচ্ছে মতো বলতে পারেন।

সরকার প্রধান বলেন, অনেকেই হয়তো এখন সমালোচনা করে বলেন, এটা করা হচ্ছে কেন? পরমাণুবিদ্যুৎ কেন করা হলো? এত টাকা খরচ হয়েছে। খরচের দিকটা সবাই শুধু দেখেন। কিন্তু এই খরচের মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জে কি লাভ হবে বা আমাদের অর্থনীতিতে এটা কতটা অবদান রাখবে, আমাদের উন্নয়ন কতটা গতিশীল হবে, মানুষের জীবনে কতটা পরিবর্তন আসবে, সেটা বোধহয় তারা বিবেচনা করেন না। এটা হচ্ছে খুব দুঃখজনক।

তিনি বলেন, দেশের নৌপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন একান্তভাবে অপরিহার্য। নৌপথ যত বৃদ্ধি পাবে মানুষের পণ্য পরিবহন তত বৃদ্ধি পাবে। মানুষের যাতায়াত‌ বৃদ্ধি পাবে, অর্থনীতি সচল হবে। একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করা সহজ হবে। যেটা আমাদের অর্থনীতিকে আরও সচল করবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে আমাদের তৃণমূলের মানুষ সব থেকে বেশি লাভবান হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশের কৃষক, শ্রমিক আর খেটে খাওয়া মানুষদের ভাগ্য পরিবর্তন করাই তো আমার লক্ষ্য। এসডিজিতে যে সমস্ত বিষয় আছে যেগুলো আমাদের জন্য প্রযোজ্য আমরা তা বাস্তবায়ন করেছি এবং বাস্তবায়ন করে যাব।

তিনি বলেন, এই সমস্ত প্রকল্পগুলো যখন সম্পন্ন হবে বা মানুষ যখন এর শুভ ফল ভোগ করবে তখন এদেশের অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল হবে, সচল হবে। দারিদ্র্য বিমোচন হবে। আমরা দেশের মানুষের সার্বিক উন্নতি করতে পারব।

শেখ হাসিনা বলেন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের পথে আমরা সাত বছর অতিক্রম করছি। গত দুই বছর কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির কারণে এসডিজি বাস্তবায়ন গতি কিছুটা মন্থর হয়েছে। তবে আমরা আমাদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহ, এনজিও এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিরা সমানভাবে অংশীদার। এ সম্মেলনে সকলের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে বেসরকারিখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। অবকাঠামো উন্নয়নে মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে বেসরকারিখাত আরও বেশি গতিশীল হবে। এ সম্মেলনে বেসরকারিখাতের অংশগ্রহণ সম্মেলনের উদ্দেশ্য পূরণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করি।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমরা সকলে মিলে এক সঙ্গে কাজ করলে ২০৩০ এর আগেই আমরা নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনে এবং ২০৪১ সালের পূর্বেই জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত এবং উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সমর্থ হব।

বাংলাটিভি/জাবেদ

 

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button