স্বপ্নের মেট্রোরেল ঘণ্টায় যাত্রী পরিবহন করবে ৬০ হাজার

যানজটের নগরী ঢাকায় বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরমধ্য দিয়ে যাতায়াতের কষ্ট লাঘব হবে শত বছরের পুরনো এই নগরীর। ঘণ্টায় ৬০ হাজার হিসেবে দৈনিক পাঁচ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে এ যন্ত্রদানব । ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, এমআরটি নেটওয়ার্ক তৈরী হলে প্রতি বছর ৪০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে দেশের।
আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হল মেট্রোরেল পরিষেবার। সকালে উদ্বোধনী জনসভা শেষে দিয়াবাড়ি উত্তরা উত্তর স্টেশনে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিয়মমাফিক কাটেন টিকিট। সাথে ছিলেন তার বোন শেখ রেহানা।
স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে এসে স্মারক হিসেবে সংরক্ষণের জন্য সবুজ পতাকায় স্বাক্ষর দেন তিনি। পরে সবুজ পতাকা দুলিয়ে মেট্রোরেলের যাত্রা শুরুর সংকেত দেন প্রধানমন্ত্রী।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন,এমআরটি নেটওয়ার্ক পুরোপুরি চালু হলে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে দেশ। যানজট কমে পরিবেশেরও হবে উন্নয়ন।
রাজধানী ঢাকার বুকে এমআরটি লাইন-৬ এর প্রথম অংশ উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হয়েছে। এই পথের দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। নয়টি স্টেশন রয়েছে এখানে । মেট্রোরেলে দুটি ট্রেইলার কোচসহ মোট ছয়টি কোচ থাকবে এই ফেজে। ট্রেইলার কোচের প্রতিটিতে সর্বোচ্চ ৩৭৪ জন এবং বাকি চারটি কোচের প্রতিটিতে সর্বোচ্চ ৩৯০ জন যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা রয়েছে। সে হিসাবে প্রতিটি মেট্রোরেল দুই হাজার ৩০৮ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। ফলে ঘণ্টায় ৬০ হাজার এবং দৈনিক পাঁচ লাখ যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে মেট্রোরেলের।
ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার গতির ট্রেনের টিকিটিং এ ও রাখা হয়েছে আধুনিকতা।স্টেশন থেকেই কার্ড কিনে যাতায়াত করতে হবে যাত্রীদের।
২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর, মেট্রোরেল প্রকল্প অনুমোদনের পরে ২০১৬ সালের ২৬ জুন নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ৩৩ হাজার ৪১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকার প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি সহজ শর্তে ঋন দিয়েছে ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
বাংলা টিভি/ হীরা