
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, সাম্প্রতিক আগুনের ঘটনা আমাদের ব্যথিত করেছে। জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনা নাশকতার ষড়যন্ত্র কি-না সেটা সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখতে হবে।
মঙ্গলবার ভাসানটেক সরকারি কলেজ মাঠে (বিআরপি সংলগ্ন) পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে শেখ হাসিনার ঈদ উপহার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফখরুল সাহেবরা ২০০৪ সালেও বলেছিলেন, ২১ এ আগস্ট শেখ হাসিনা নাকি ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে এসেছিলেন। এখন তিনি বলছেন আমরাই নাকি আগুন লাগিয়েছি। আমি অবাক হইনি, তাদের এ রকম অসংলগ্ন এবং অসংবেদনশীল কথা শুনে। যে দলের নেত্রী ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করেন তাদের রুচি সম্পর্কে আমাদের জানা আছে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি যাদের সঙ্গে শরিক করেছে জামায়াত তারা-তো আগুন দেওয়ার প্রবর্তক; ১৯৭১ সাল তার প্রমাণ। ৭১ সালে এই জামায়াত আমাদের গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে। ২০১৪ সালেও এই জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। সুতরাং তাদের সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ আছে।
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ভোটে জিততে পারবে না বলে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে বিএনপি। নির্বাচনে আসার তাদের যোগ্যতা নেই। নির্বাচনে জিততে পারবে না সেটা তারা জানে। কারণ তারা গত ১৪ বছর মানুষের পাশে যায়নি। এই যে এত বড় করোনা গেল, সারা বিশ্বে মহামারির, এ যে রমজান গেল কিন্তু জনগণের পাশে দাঁড়ায়নি। তাই তারা নির্বাচনে ভয় পায়। বিএনপি মনে করে তারা নির্বাচনে না গেলে সংসদ নির্বাচন বৈধতা পাবে না। আমি বিএনপিকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই এর আগেও তারা নির্বাচন বয়কট করেছিল। কিন্তু তাতে বৈধতার কোনো সংকট হয়নি।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল ও যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।