৯২ হাজার কোটি টাকার সন্ধান দিন: সিপিডিকে ওবায়দুল কাদের
বিগত ১৫ বছরে ব্যাংক খাত থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকার ওপরে লোপাট হয়েছে, সিপিডির এমন দাবির প্রেক্ষিতে, সংস্থাটির কাছে ওই টাকার সন্ধান চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, যারা অনিয়মের অভিযোগ এনেছে,তাদেরই বলতে হবে সেই টাকাগুলো কোথায় রয়েছে। রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। কাদের বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে, একটি পক্ষ দেশে বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে, সব অপশক্তি মোকাবেলা করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সিপিডির এই রিপোর্ট সম্পর্কে আমি বিস্তারিত জানি না। এ রিপোর্ট কে দিয়েছে? দেবপ্রিয়ই দিক বা মুস্তাফিজই দিক, আমার বক্তব্য হচ্ছে এই টাকাগুলো কোথায় গেছে? আপনারা টাকার সন্ধান দেন, আমরা টাকাগুলো ফিরিয়ে আনতে চাই।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে সংঘাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটা নির্বাচন হলে সেখানে সংঘাত একটি স্বাভাবিক বিষয়। তবে নির্বাচনকে ঘিরে বড় ধরনের কোনো সংঘাতের শঙ্কা দেখছি না। এসব বিশৃঙ্খলা-সংঘাতের বিষয়ে আমাদের সভানেত্রী ‘জিরো টলারেন্স।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্রের নামে যদি কেউ সংঘাত তৈরি করে, বিশৃঙ্খলা করে তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে, এটাই আমরা দলীয়ভাবে চাইবো। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন। এখানে কে দলীয় প্রার্থী আর কে স্বতন্ত্র প্রার্থী সেটা আলাদাভাবে দেখার সুযোগ নেই।
ভোট কেন্দ্র দখল করে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংখ্যালঘু হামলার ঘটনা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আমরা তাদের ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে শ্রদ্ধাশীল, সহানুভূতিশীল। তারা আমাদের নাগরিক, আমাদের ভোটার। এমনকি তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধেও বড় ভূমিকা আছে। আমরা তাদের ভিন্ন কোনো চোখে দেখি না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপদপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম প্রমুখ।