হাতছানি দিচ্ছে শীতের রাজা মাষ মাস। শেষের দিকে পৌষ। শীত ঋতুর প্রথম মাসটির শেষের দিকে সারা দেশে তীব্রভাবে জেঁকে বসেছে শীত। শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে উত্তরের জেলা দিনাজপুরে ৮.৮ ডিগ্রি।
সেই তীব্র শীতের পাশাপাশি হিমেল বাতাস জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। দেশজুড়ে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। ঘন কুয়াশায় রোদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে দিন ও রাতে প্রায় একই রকম শীত পড়ছে। তীব্র শীতে দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, এই নিম্নমুখী তাপমাত্রা আরও কয়েকদিন বিরাজ করবে।
এদিকে দেশের চার জেলা কিশোরগঞ্জ, পাবনা, দিনাজপুর ও চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, সারা দেশে তীব্র শীতের প্রধান কারণ শৈত্যপ্রবাহ নয়। মূল কারণ হলো দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়া। অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এলে শীত বেশি লাগে। দিনে সূর্যের আলো কম আসায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা ওঠানামা করে না। ফলে ওই দুই বিপরীতধর্মী সময়ে শীতের অনুভূতি বেড়ে যায়। আগামী দুই-তিন দিন শীতের অনুভূতি বেশি থাকতে পারে।
গ্রামাঞ্চলে তীব্র শীতে কষ্ট পাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় অনেকেই খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। আবার কেউ কেউ স্বল্পমূল্যে শীতবস্ত্র কিনতে পুরোনো পোশাকের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন।
দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ১০ দশমিক শূন্য ডিগ্রি, বৃহস্পতিবার ১১ দশমিক শূন্য ডিগ্রি ও বুধবার ছিল ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। সেই সঙ্গে গত কয়েকদিন ধরেই এই জেলায় ঘন কুয়াশা পড়ছে। হিমেল বাতাস বইছে ঘণ্টায় ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার বেগ পর্যন্ত।