বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এই আইন বাতিল হলে বঙ্গবন্ধু পরিবারের আর কেউ বিশেষ কোনো নিরাপত্তা পাবেন না।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্তভাবে আইনটি বাতিলের অনুমোদন দেয়া হয়।
জানানো হয়েছে, বিগত সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন, ২০০৯ (২০০৯ সালের ৬৩ নম্বর আইন) প্রণয়ন ও জারি করা হয়েছিল। ২০১৫ সালে ১৫ মে ওই আইন অনুসারে বিশেষ নিরাপত্তা এবং সুবিধাদি প্রদানের গেজেট জারি করা হয়। কেবল একটি পরিবারের সদস্যদের রাষ্ট্রীয় বিশেষ সুবিধা প্রদানের জন্য আইনটি করা হয়েছিল যা একটি সুস্পষ্ট বৈষম্য। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সকল বৈষম্য দূরীকরণে দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করেছে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ‘জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন ২০০৯’ প্রণয়ন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবিত দুই কন্যা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং তাদের সন্তানদের আজীবন বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
আরও উল্লেখ্য, এই আইনের অধীনে একজন ভিআইপিকে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে, তাদের জন্যও আজীবন একই ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রত্যেক সদস্যের জন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত আবাসনসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সুবিধা দেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে এই আইনে।