প্রথমে কোটা সংস্কার ও পরে সরকার পতনের দাবিকে ঘিরে আন্দোলনের সময়ে সহিংস ঘটনা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত কার্যক্রম শুরু করছে জাতিসংঘ ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন। ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত এ ধরনের ঘটনা খতিয়ে দেখবে তারা।
গত ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মাঝে বাংলাদেশে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তের জন্য তথ্য জমা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের ‘ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং’ দল। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রেস বিবৃতিতে এ আহ্বান জানায় সংস্থাটি।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমন্ত্রণে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস, ১ জুলাই থেকে ১৫ আগষ্ট ২০২৪ পর্যন্ত সাম্প্রতিক বিক্ষোভের কারণে উদ্ভূত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করছে।
এতে আরও বলা হয়, তদন্ত দল ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন ব্যক্তি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তা, চিকিৎসা পেশাজীবী এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের পরিকল্পনা করেছে। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং তদন্তটি কোনও অপরাধ অনুসন্ধান বা আইনি তদন্ত নয়। এটি যেকোনও জাতীয় ফৌজদারি বিচার প্রক্রিয়া থেকে স্বাধীনভাবে পরিচালিত। এই তথ্য অনুসন্ধান প্রক্রিয়াটি কঠোরভাবে গোপনীয়। তদন্ত চলাকালীন তদন্ত দলের সদস্যরা কোনও গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেবেন না। তারা সবাইকে তথ্য অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার গোপনীয়তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।
উল্লেখ্য, ঘটনাস্থলে পরিচালিত পরীক্ষা-নীরিক্ষা ও উপাত্ত বিশ্লেষণের পর জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের তদন্ত দলের প্রধান তাদের তদন্তের উল্লেখযোগ্য ফলাফল, উপসংহার ও সুপারিশসহ একটি বিস্তারিত মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে।
৮ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণের পর অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মাদ ইউনুস ভলকার টুর্কের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেন এবং জাতিসংঘের নেতৃত্বে একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন পাঠানোর অনুরোধ করেন।