![২০ বছর পর এ কি দেখলাম মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরে! 1 b3a5223c 6595 45d3 8a79 35a921c5435f](https://banglatv.tv/wp-content/uploads/2024/12/b3a5223c-6595-45d3-8a79-35a921c5435f.jpg)
রুদ্র রাসেল: মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নতুন সরকারের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান, এনডিসি। অর্থাৎ গোটা দেশে মাদক নিয়ন্ত্রণের প্রধান ব্যক্তি তিনি। তাকে পাওয়া কি অতোটা সহজ?
আগে যারা ছিলেন তাদের বেশিরভাগেরই দেখা পাওয়া ছিল অমাবশ্যার চাঁদ কিংবা লটারিতে মার্কিন ভিসা জেতার মতো দুরূহ ব্যাপার। আর কথা বলা! সেতো অনেক সাংবাদিকের জন্যেও ছিল যেন সৌভাগ্য।
আমি এক মহাপরিচালকের রুমে ঢুকে সরাসরি প্রটোকল ছাড়া বক্তব্য নিয়েছিলাম আট দিন ঘুরে! এর সাক্ষী ক্রাইম রিপোর্টার সুজন কৈরী। এরপরও পিআরও (জনসংযোগ কর্মকর্তা) কত কি যে বললেন ফোনে! বক্তব্যের রেকর্ড পাঠাতে হলো, আরও কতো মনমালিন্য!
তবে নোবেলজয়ী সরকার প্রধান ড.মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন নতুন বাংলাদেশেও কি সেই হাইপ্রোফাইল অফিসার (মহাপরিচালক) নাকি প্রজাতন্ত্রের সেবক চেয়ারে বসেছে? তিনি কতটুকু সাংবাদিকবান্ধব- তা দেখতে সরেজমিনে মঙ্গলবার বিকাল পাঁচটার দিকে ডিআরইউ থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে ছুঁটলাম তিন সিনিয়র সাংবাদিক, যারা ক্র্যাব ও ডিআরইউ’র মতো প্রেজটিজিয়াস (মর্যাদাপূর্ণ) রয়েল সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, অতীতেও একাধিকবার দিয়েছেন।
পৌঁছতে হাঁটা পথ তিন মিনিটের দূরত্ব। এর মধ্যেও আমাদের নানা মন্তব্য! তবে সেই ধারণা একদম কেটে গেলো। দেখা হলো এক সাদাসিধে সরল মিশুক অভিব্যক্তির কর্মকর্তার সঙ্গে! চা খেতেও সমাদর করলেন, তখন সরকারি অফিসের ঘন্টা শেষ!ঘড়ির কাটা বলছে- সাড়ে পাঁচটা! আকাশ বলছে- গোধূলি।
এর আগেও তাকে কয়েকটি মিটিং করতে দেখেছি। অবশেষে বদলে গেলাম আমরা! মনস্থির করলাম- শুধু রিপোর্ট করেই নয়, কার্যত মাদক নির্মূলে আমরাও পাশে দাঁড়াবো সরাসরি, ভয় দ্বিধাহীন চিত্তে! গত ২০ বছর এ দপ্তরে আনাগোনা। কখনো এমন করে বদলাইনি আমরা! বা আমাদেরও বদলাতে পারেননি কোনো ডিজি সাহেব!
এ কি দেখলাম? কেউ ফেরে না, না দেখে তারে! গেলে দেখা হবেই, বড় সম্ভাবনা জাঁগলো মনে! এবার হয়তো মাদকের যুদ্ধ জয় করা হবে- এ আশা জাগালেন তিনি প্রথম পরিচয়েই!
অনেক ভালোবাসা! পাশে আছি মাদকমুক্ত দেশের অপেক্ষায়! পাশে আছে সাংবাদিক সমাজও! এগিয়ে চলুন প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ফলপ্রসূ নির্দেশনা বাস্তবায়নের পথে! যে প্রত্যয়ের দৃঢ়তা মুগ্ধ করেছিল সেই সাত মিনিটের আলোচনা, এ যেন সাত শতাব্দীর পণ!
হাসলেন, হাসালেনও! সত্যি বলছি- একজন সাধারণ মানুষ গিয়েই দেখুন, কতটা মিথ্যা বলেছি এই আমি?
লেখক : কবি ও সাংবাদিক
এসআর