অর্ধেক মৌসুম প্রায় শেষ। বছরের প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে নিজ নিজ দলের হয়ে ছন্দে আছেন ইউরোপের শীর্ষ পাঁচটি লিগের তারকা ফরোয়ার্ডরা। লিভারপুলের হয়ে অদম্য গতিতে ছুটছেন মোহামেদ সালাহ, বার্সেলোনার হয়ে ফর্মে আছেন রাফিনিয়া-রবার্ট লেভানদফস্কিরা। বুন্দেসলিগায় রাজত্ব চলছে হ্যারি কেইনের। সাম্প্রতিক সময়ে ছন্দ ফিরে পেয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা কিলিয়ান এমবাপেও। সব মিলিয়ে এবারে গোল্ডেন বুট জেতার লড়াইটা তাই বেশ জমে উঠেছে।
চলুন দেখে নেওয়া যাক, বক্সিং ডে-এর আগে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট জেতার দৌড়ে যারা এগিয়ে আছেন, তাদের তালিকা।
রবার্ট লেভানদফস্কি – ১৬
চলতি মৌসুমে উড়ন্ত শুরু পেয়েছেন লেভানদফস্কি। বার্সেলোনার মত শুরুটা ভালো করলেও শেষ চার ম্যাচে পাননি কোনো গোলের দেখা। বরং সহজ সব সুযোগ হাতপছাড়া করে হচ্ছেন সমালোচিত।
সমালোচনা ঝেঁকে ধরলেও অর্ধেক মৌসুম শেষে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা পোলিশ এই স্ট্রাইকার। লা লিগায় ১৮ ম্যাচ খেলে করেছেন ১৬ গোল। নামের পাশে আছে দুই অ্যাসিস্ট। তাতে অর্ধেক মৌসুম শেষে গোল্ডেন বুট জেতার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে ৩৬ বছর বয়সী এই তারকা।
মোহাম্মেদ সালাহ – ১৫
লিভারপুলের সাথে এই মৌসুমে চুক্তিটা শেষ হওয়ার কথা মোহামেদ সালাহর। চুক্তির মেয়াদ কয়েক মাস বাকি থাকলেও এখনো নতুন চুক্তির প্রস্তাব মেলেনি। তবে প্রতিটা ম্যাচেই মিশরীয় তারকা মনে করিয়ে দিচ্ছেন নতুন চুক্তিটা তার প্রাপ্য।
সালাহ ৩২ বছর বয়সে ছুটছেন দুর্বার গতিতে। এরই মধ্যে প্রিমিয়ার লিগে ১৬ ম্যাচে করে ফেলেছেন ১৫ গোল। নামের সাথে আছে ১১ অ্যাসিস্ট। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সালাহ গোল্ডেন বুট জেতার দৌড়ে আছেন বেশ ভালোভাবেই।
হ্যারি কেইন – ১৪
গেল মৌসুমের মত এই মৌসুমেও হ্যারি কেইন ছুটছেন একই ছন্দে। ইংলিশ অধিনায়ক এরই মধ্যে বায়ার্ন মিউনিখে হয়ে করে ফেলেছেন ১৪ গোল। বুন্দেস লিগায় সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় সবার উপরের নামটা ইংল্যান্ড অধিনায়কেরই। আর ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের সর্বোচ্চ গোলের হিসেবে কেইন আছেন তিন নম্বরে।
আর্লিং হলান্ড – ১৩
মৌসুমের শুরুটা দারুণ করেছিলেন আর্লিং হলান্ড। তবে সময় যত গড়িয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি যেমন হোঁচট খেয়েছেন, তেমনি হোঁচট খেয়েছেন হলান্ডও। যদিও গোলের দিক থেকে খুব একটা পিছিয়ে নেই নরওয়ে তারকা। ১৭ ম্যাচ খেলে করেছেন ১৩ গোল। এর মধ্যে প্রথম পাঁচ ম্যাচেই ছিল ১০ গোল। মৌসুমের বাকি সময়ে হলান্ডের সামনে সুযোগ আছে গোল্ডেন বুট জেতার দৌড়ে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।
মার্কস থুরাম – ১২
সেরি আ-তে মার্কাস থুরাম আছেন দারুণ ছন্দে। এরই মধ্যে ১৬ ম্যাচ খেলে করে ফেলেছেন ১২ গোল সেই সাথে আছে ৬ অ্যাসিস্টও। তার সমান সংখ্যক গোল আছে আতালান্তা স্ট্রাইকার মাতেও রেতেগির। আতালান্তার চলন্ত মৌসুমের সাফল্যের অন্যতম কারিগর ইতালিয়ান এই স্ট্রাইকার।
রাফিনিয়া – ১১
চলতি মৌসুমে নিজেকে যেন নতুন করে চিনিয়েছেন রাফিনিয়া। প্রতিটা ম্যাচেই নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। সব মিলিয়ে ১৯ ম্যাচ খেলে করেছেন ১১ গোল, সাথে আছে ৮ অ্যাসিস্ট। তাতে গোল্ডেন বুট জেতার দৌড়ে এগিয়ে আছেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড।
জনাথন ডেভিড – ১১
লিগ আ এবার কিছুটা জৌলুস হারিয়েছে। পিএসজির ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার কিলিয়ান এমবাপের বিদায়ে স্বাভাবিকভাবেই ফ্রান্সের শীর্ষ লিগে এখন নেই শীর্ষ মাপের তারকা। ১৫ ম্যাচে ১১ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন লসের স্ট্রাইকার জনাথন ডেভিড।
কিলিয়ান এমবাপে – ১০
পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়ে লা লিগায় এমবাপের শুরুটা হয়েছিল ভুলে যাওয়ার মতই। চোট আর সহজ সব সুযোগ মিসে ফরাসি অধিনায়ক নিয়মিতই ছিলেন শিরোনামে। তবে গেল কয়েক ম্যাচে এমবাপের খেলায় দেখা মিলছে চেনা ছন্দ। সব মিলিয়ে লা লিগায় এমবাপে ১৬ ম্যাচ খেলে ১০ গোলের পাশাপাশি করেছেন ২ অ্যাসিস্টও।