
সচিবালয়ে আগুনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আট ও ৯ তলা। সেখানে থাকা নথিপত্র পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে এই তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।
এদিকে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সচিবালয়ের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে আগুন নির্বাপণ হয়। আর দুপুর ১২টার পর সিআইডির ক্রাইম সিন ই্উনিটকে সচিবালয়ে প্রবেশ করে।
সচিবালয়ের সাত নম্বর যে ভবনটিতে আগুন লাগে সেখানে বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় রয়েছে । প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী জানা যায় এই ভবনে রয়েছে-
- পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়
- যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়
- ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
- ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ
- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়
- স্থানীয় সরকার বিভাগ
- পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ
- শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়
- অর্থ মন্ত্রণালয়
- অর্থ বিভাগ
- আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ
- অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ
- সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়
- সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে রাত একটা ৫০ মিনিটে ছয় তলায় প্রথমে আগুন লাগে। একটা ৫২ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। একটা ৫৪ মিনিট থেকে ফায়ার সার্ভিস তাদের কাজ শুরু করে। সকাল আটটা পাঁচ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে।
এটি ‘নাশকতার আগুন’ এখন বলা যাবেনা মন্তব্য করে তিনি বলেন, সচিবালয়ে সাত নম্বর ভবনে আগুনের ঘটনাটি ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা, কিংবা এর পেছনে নাশকতা আছে কিনা; সেটা তদন্তের আগে বলা যাবে না। এ ঘটনা তদন্তের জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করছেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। প্রাথমিক পর্যায়ে আগুন লাগার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়। এরপর সচিবালয় এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিজিবি সদস্যদের। এদিকে আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী ট্রাক চাপায় নিহত হন।